মেঘ কবির চলে যাওয়া
ছন্দ যখন আসে সুর টা পালায়
গান হয় না আর,
সুর ধরা দেয় ছন্দ গেঁথে যায়
কন্ঠ রোধে পরাধীন এক স্বর!!
একটা দুঃখ পোষ মানেনা
আঁখি না হয় যে ছলছল,
নানান ছুতোয় ছুটে পালায়
বিভোর হতে জানেনা।
হাওয়ায় হাওয়ায় আঁকা ছবি
হাওয়ায় মিলায়
আরেক রঙে রাঙায়
আঙুল গলে ভাসতে থাকে
নিঃস্ব হবেই
একলা আকাশে ঘরছাড়া এক মেঘকবি।
অন্তঃপট
এপারে বসে রই,
এপারেই অস্থির,
এপারেই বাঁচি।
এপারেতে আছি,
না দেখে ওপারের
সমস্ত অজানা।
এপারেই জন্মে এপারেই মরন
ওপারের বিস্ময় না দেখেই ভাবায়
দেখা পেলে তার শুধে নেবো না হয়
কেমন ছিলো নিয়মপালন
কেমন করে আদ্যোপান্ত করতো বিশ্লেষণ।
সাথে ‘যা’ রয়!
এই শহরকে আমি চিনি না
অলিগলি আর দালানকোঠা আমার সাথে ভিন্ন ভাষায় কথা বলে
এখানকার দেয়ালগুলোর রঙ ঠিক যেন নিয়ন আলোয় দেখা মেহেদী পাতার মতো
তবু আমি চেয়ে থাকি খানিক।
পথের ধারে ফুটে থাকা বুনোফুল
আলতো করে ছুঁয়ে দেই তাকেকি যেন এক কষ্ট তার ছেট্ট বুকে!
আমি ক্লান্ত হয়ে ফিরি
বুকে বিধে রয় অচেনা শহরের
অচেনা গলির এক নামহীন ফুলের কক্ট!!!
আত্নার খোঁজে
দলগত বড় বড় মানুষগুলোর হাসাহাসির শব্দ
আমার পছন্দ নয়
মনে হয় ওরা হেরে যাওয়া একদল মানুষ
আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় মায়ের কোলে
শিশু কাতুকুতু খায় আর হেসে গলে যায়
আমার ভালোলাগে লুকিয়ে চিঠি পড়ে লাজুক
লাজুক হাসি।
চায়ের কাপে ঝড় আমার আসলে এখনও পছন্দ নয়
আমি ভালোবাসি একা রাস্তায় ঝড়ের মুখে আটকা পড়ে পাতার যুদ্ধ দেখতে।
তুমি থাকলে তুমি আর ভালোলাগার কিছু নও
তুমি চলে গেলে তোমার ফেলে যাওয়া নিশ্বাসে
আমার ভালোবাসা গলে ঝরে পড়ে!!!
আধখানা চাঁদ খুঁজে ফিরতেই ভালোলাগে পূর্নতার কাল্পনিক রুপ।
সত্য লুকালো কপটতা হাতড়ে হাতড়ে
শেষে পৌছানোই আমার আজন্ম স্বপ্ন!
রুনা/এসআইএইচ/বিআই/১৩ মে, ২০১৭