• বেলাল হোসাইন বিদ্যা
আমার বিন্দুও রাতে ঘুমায় না।
অনেক বার দেখেছি, অনেক ভাবে দেখেছি;
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে; কখনো বসে থাকে,
কখনো ঝাপটে দেয় ছোট্ট দু’ডানা।
কখনো চেও চেও শব্দ; এখনো কথা বলতে শেখেনি ও।
যদিও আমার এ্যান্থনিও এতোগুলো বছরে,
একটিবারও কথা বলেনি মানুষের মতো, শুধু মিঁয়াও!
ওটা যে মিথ্যা অপবাদ।
কবি’রা যে জনম জনম ঘুমিয়েই কাটায়;
শুধু জেগে থাকে ভিতরটা, চিরজীবন্ত!
সারাক্ষণ ছটফট করতে থাকে- আমার বিন্দুর মতো।
এ যে ‘জান’বাহী চামড়া’র বাহন;
বয়ে চলে একে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।
এ দেহে মঙ্গল প্রদীপ জ্বলে, হজ্জ হয়, কখনো ওমরাহ;
এ দেহ খুব সূক্ষ্মভাবে লেখে অন্যকোনও দেহকে;
কখনো ভালোবাসা দিয়ে, কখনো টাকা দিয়ে।
এ দেহে ঘন্টা বাজে গীর্জার, আজান হয়, ঊলুধ্বনিও।
এ দেহ’কে যন্ত্রণা চেনে, চেনে কবর, চেনে শ্মশান।
কখনো আড্ডা, কখনো বিপ্লব, ভালোবাসতেও দেখা যায়;
ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের সৈনিক, বিদ্রোহের নায়ক!
মিছিলে’র স্লোগান এ দেহে, শাসকে’র ছোঁড়া প্রথম বুলেট,
এ দেহ, ছিঁড়ে-ভুড়ে একাকার হয়ে যায়- বেয়নেটে;
এ দেহ দাঁড়িয়ে যায়- কাঁঠগড়া, অতঃপর ফাঁসির মঞ্চে।
তবু বলবেন, ‘কবি’রা ঘুমায় না’?
কবি’রা যে জনম জনম ঘুমিয়েই কাটায়;
শুধু জেগে থাকে ভিতরটা, চিরজীবন্ত!
সারাক্ষণ ছটফট করতে থাকে- ঠিক আমার বিন্দুর মতো।
এসআইএইচ/বিআই/২১ জানুয়ারি, ২০১৭