• মুকিমুল আহসান হিমেল
নভেম্বরের শেষ দিকেই শুরু হতো প্রাকটিস। ডিসেম্বরে গিয়ে পিটি আর লেফট রাইট করতে করতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধা নামতো। কারো এক হাত-পা এলোমেলো হলে সটান করে বেত্রাঘাত।
ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১৫ তারিখ পিটি-ডিসপ্লে আর ঢোলের বারি ছাড়া আর কিছু চিন্তাই করতে পারতাম না আমরা।
১৫ তারিখ বিকেলেই স্যারেরা দিতেন লাল সবুজের ব্যান্ড। ঐদিন রাত যেন পার হতো না ভোরের অপেক্ষায়। পরদিন ১৬ ডিসম্বর ভোরের সুর্য্য ওঠার আগেই উঠে ছুট দিতাম স্টেডিয়ামে।
ঠোল বাদ্যের তালে, বিজয়ের গানে, ইউনিফর্মের সাথে লাল সবুজের ব্যান্ড উড়িয়ে এগিয়ে যেতাম আমরা। মনে করতাম আমরাই মুক্তিযোদ্ধা, যেন যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি।
কত শত স্কুল ডিঙ্গিয়ে কুচকাওয়াজে প্রায় বার আমরাই হতাম সেরা। শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার জিতে পেতাম যুদ্ধ জয়ের স্বাদ।
ছিলো না ফোন ক্যামেরা, না ছিলো ফেইসবুক; তবুও, সে সব দিনের স্মৃতি আজও প্রাণে গাথা। দেশ প্রেমের বীজ তো তখনই বোনা।
শুভেচ্ছা লাখো বাংলা মায়ের সুর্য্য সন্তান। যারা দেশপ্রেম শব্দটা আমাদের শিখিয়েছে।