• মাসুমা রুনা
যুগে যুগে কতিপয় বাজে লোকের জন্য বদনাম হয় পুরো পুরুষ জাতির। আমরা মেয়েরা নিজেরা এগিয়ে না আসলে, নিজেরা আরও সচেতন না হলে, অন্যরা আমাদের কখনও-ই রক্ষা করতে পারবে না।
আমার নিজের কথা বলি, ছোটবেলায় আমার বড় বোন এর সাথে গেছিলাম স্কুল ড্রেস বানাতে দিতে। অই দোকানের দর্জি একটা শুয়োর। সেই শুওর-কে আমি ঐদিন কিছু বলতে পারি তো নাই-ই কিন্তু আমি বহুদিন ধরে এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা বোধ করছিলাম। কাউকে কিভাবে এসব বিষয়ে নালিশ করতে হয়।
আপনার আমার ছোট্ট বোন অথবা আমার মেয়েটা তা জানেনা …এখনও জগতের এসব কুৎসিত দিকটা সে দেখেনি। তাই সে বুঝে উঠতে পারে না কাকে বলবে, কিভাবে বলবে …।
কি ঘেন্নায় সে ভিতরে ভিতরে কুঁকড়ে যায় তার অসচেতন বাবা-মা কিংবা অভিভাবকরা তা জান্তেই পারে না।
অভিভাবকদের যেহেতু দুনিয়ার কুৎসিত দিক সম্পর্কে এতদিনে একটা আইডিয়া হয়ে গেছে তাই যতদিন আপনাদের বাচ্চা রা অবুঝ একটু চারদিকটা খেয়াল রাখুন !! আপনার মাথার চারদিক এ সচেতনতার চোখ বসান।
আমি তো একটু বড় হবার পর থেকেই (মনে হয় ক্লাস সিক্স হবে) রাস্তাঘাট এ প্রচুর লুইচ্ছাদের পিটাই-সি । ডাইরেক্ট **** লাত্থি আর অকথ্য গালাগালি জানা এক্ষেত্রে প্রয়োজন। এরপর মানুষ জড় করে এদের লুইচ্চামির কথা জানান।
রাস্তাঘাটে চলতে অবশ্যই চেহারায় কঠোর ভাব ফুটে থাকা প্রয়োজন। সব জায়গায় নারীর কোমলমতি চেহারা ধরে রাখতে নেই।
বিশেষ করে রাস্তাঘাটে কিছু নাম পরিচয়হীন বাজে চরিত্রের কুৎসিত মানুষিকতার পুরুষ নামের লুইচ্চাদের শায়েস্তা করতে হলে যার যার নিজের অবস্থান থেকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হবে। পায়ের চপ্পলের বহুবিধ ব্যবহার জানতে হবে।
সবার আগে নিজেদের প্রতিবাদ ও প্রতিহত করতে হবে এমন বিকৃত মানসিকতার পিশাচদের। ‘আমরা যদি না জাগি মা ক্যামনে সকাল হবে?’
আমরা মায়ের জাতি। আমরা নারীরা সবাই এগিয়ে এলে মানুষরুপী পিশাচদের রক্ষা নেই…