একদল মৃত মানুষের বাস এ শহরে,
তাদের দেহে কষ্টের বাড়ি
কংক্রিটের দেয়াল জুড়ে লতার মত আষ্টেপৃষ্ঠে বেড়ে ওঠে একঝাক যন্ত্রণা,
বিষণ্ণতারা সন্ধ্যা এলেই ভিড় জমায় ব্যালকনীতে।
শহুরে আমরা বড় বেশিই বিষণ্ণতা বিলাসী,
ধোয়া ওঠা কফির মগ হাতে খুব আয়োজন করে বসি বিষণ্ণ হতে,
ঝকঝকে আকাশেও আমরা কালচে মেঘ খুঁজে নেই!
বৃষ্টি চাই, বৃষ্টি নামাই
আবার ক্লান্তিহীন ভিজে ভিজে জ্বর বাধাই।
এ শহরের অলিতে গলিতে ডাকবাক্স
প্রার্থনার বাক্য খামে ভরে রোজ রোজ ফেলে যায় মৃতেরা,
স্রষ্টার কাছে বাক্যেরা পৌঁছায় কিনা খবর নেয় না কেউ।
প্রয়োজন নেই?
কে জানে!
এ শহর তো ব্যস্ততাদের।
অসংখ্য চিৎকারে এ শহর স্তব্ধ হয়ে যায়,
কাকেদের কা-কা আর্তনাদ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই কারো!
আচ্ছা, শত কয়েক কল-কারখানার সাধ্যি ছিলো বিষাক্ত করে শহুরে বায়ু?
জানো না! ছিলো নাতো।
মৃতেরা কি ঘরে ফেরার আগে ব্যাগ ভরে নিয়ে যাবে কিছু দায়ভার!
দীর্ঘশ্বাস তো আর ইট পাথরেরা ছুড়ে দেয়না!
তারপর! দিনের পাট চুকিয়ে
রাত্রিগুলো এ শহরে ঘুম নামায় না,
ক্লান্ত, লালচে, নেশাগ্রস্ত অজস্র চোখ চেয়ে থাকে আকাশপাণে;
রাত্রি মানে শুধুই তাদের কষ্ট ছোঁয়া।
এ শহর কষ্ট কেনে, কষ্ট পোষে
যত্নে, অযত্নে কষ্টরা বেড়ে ওঠে শ্যাওলার মত হৃদপিন্ডের দেয়াল জুড়ে
এ শহর মৃতদের, এ শহর কষ্টের…
এসআইএইচ/বিআই/১৯ আগস্ট, ২০১৬