• মেহেদী হাসান সোহেল
রাষ্ট্র আপনাকে কি শিক্ষা দিল? “আপনি যদি কাউকে ধর্ষন করে হত্যা করার পর এক খন্ড জমি আর বিশ হাজার টাকা দিয়ে দেন, তাহলে আপনি গঙ্গা স্নান করে পবিত্র হবার মত পবিত্র হয়ে যাবেন।”
বিরোধী দল থেকে কি শিক্ষা পেলেন? “আপনি ধর্ষণ করে ৪৫ বছর ইসলামী লেবাস ধারন করুন তাহলে পাপ মুক্ত হয়ে যাবেন।
তথা কথিত ধর্মের ঝান্ডাদারীরা কি শিক্ষা দিল? আপনি ধর্ষণ করে মেয়েদের পোষাকের দোষ দিয়ে দিবেন তাহলে তেতুল তত্ত্বের মাধ্যমে আপনার পাপ মোচন করে দিবে।
মা-বাবা তথা পরিবারের কাছ থেকে কি শিক্ষা পেলাম? ‘আমার সোনার ছেলেটাকে ঐ মেয়েটা ছলে কলে ধর্ষণ করতে বাধ্য করে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। ছেলে বিয়ে করতে রাজী না হবার জন্য নিজে আত্মহত্যা করে আমার ছেলেকে ফাসিয়ে দিয়েছে। আর ঐ মেয়ে না মরলে সমাজে মুখ দেখাতো কেমনে?’
ডাক্তারদের কাছে কি শিখলাম? “খুন হয়েছি কিনা এটা বড় কথা না বড় কথা হল ধর্ষিত হয়েছে কি না? আর সমাজের ক্ষমতাবান রক্ষা করার কিভাবে নীতিকে ধুলোয় মিশিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিতে হয়।”
বিচারালয় আপনাকে কি শিক্ষা দিল? ‘আপনি ধর্ষিত হয়ে আদালতে যাবেন সাথে সাথে আইনের বন্ধুদের চোখ ও হস্ত দ্বারা আবার ধর্ষিত হবেন। এরপর মহামান্য আইনজ্ঞদের অমৃত বাক্য বানে আবার ধর্ষিত হবেন।’
পেরকের বদলে পেরেক ঠুকে দিবে মহামান্য আদালত ধর্ষককে জামিন আর বিচারকার্যকে দীর্ঘায়ু দান করে।”
এবার আপনাদের কাছে প্রশ্ন এই ধর্ষক বান্ধব পরিবেশে দিনদিন ধর্ষকের সংখ্যা বাড়াই স্বাভাবিক। এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় একটা সকলের মানষিকতার পরিবর্তন করা। আরে ভাবতে হবে ধর্ষিতা বলে কোন কিছু নাই।
আমরা পুরুষরা এ শব্দ তৈরি করেছি। শব্দ একটাই ধর্ষক। মুলকথা ধর্ষণের পর মেয়েরা নয় ধর্ষক সমাজচ্যুত হবে। তবে মেয়েদের অতিরিক্ত সম্মানের নামে বীরঙ্গনা বলা যাবে না।
ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হিসেবে নিতে হবে যেমন কুকুর কামড় দিলে প্রতিশোধক নিতে হবে আর সাথে সাথে কুকুরকে মেরে ফেলতে হবে। তাই আমরা যদি এই কুলাঙ্গার গুলোকে ফাঁসির দড়িতে লটকাতে পারি তাহলে এ সমাজকে ধর্ষণ মুক্ত করতে পারব।