একদল ভালোবেসে প্রেম করলো,
আর কেউ বিয়ে করে পিঁড়িতে বসলো।
ঠিক সন্ধ্যার পরক্ষণেই
ভারি-বর্ষনে আমি অনেক ভিঁজলাম একা।
না— দলছুট নই আমি;
কোন দলে ভিড়িইনি কোনদিন।
এখন কিছু প্রশ্ন জমেছে আমার কাছে,
অনেকদিন থেকেই জমতে শুরু করেছিল।
ভীড় রাস্তায় উন্মাদের মতো
তড়িৎ হেটে চলা উদ্দেশ্যহীন; রাতজেগে
অন্ধকারের শিরা-উপশিরা খোঁজা,
বৃষ্টির ঝরণে শরীর পেতে দিয়ে
অবশ-অনুভূতি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা
এসব নেহায়েৎ বেখেয়ালের বশেই
করে ফেলি আমি অহঃরহ।
তবু সন্ধ্যা এলে রাত্রির জন্য অপেক্ষা,
মেঘ দেখে ঝরার অপেক্ষা,
ভীড় ঠেলে একা হওয়ার সাধ
এ মেটেনা আমার।
প্রশ্নগুলো জমতে থাকে,
উত্তর পাইনা।
একদল ভালোবেসে প্রেম করে
আমি করিনা।
যে প্রেমের সংজ্ঞা জানা নেই কারো—
সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম স্বীকার করেনি কখনো
“তাঁরা” তো মুখ বুজে সয়ে নিয়েছেন; আধূনিকতা।
যে প্রেম সুধু উচ্ছৃঙ্খল আবেগ, উগ্র তাড়না
আর— মোহময় কামনায়
বিধ্বংসী-ছুরিকাঘাতের মতোই; কর্কট-মোহ।
সেই প্রেম আমি স্বীকার করিনা,
বিশ্বাস করিনা, মানিনা—
সব’টা বিয়ের দরবারেই
মিমাংসা করতে চাই।
বিয়েই স্বীকৃত কেবল; বিয়েই সব।
*** *** ****
আমি কিছুই না এই দুনিয়ার বুকে
চোখ বুঝলে আমি নেই,
কিন্তু সত্বা আমার আমি চিনেছি,
আছে মতবাদ; আমি সেখানেই,
আমি মানুষ।
সত্বা আমার ব্যক্তিত্বের ঊর্ধ্বতন কেউ।
আমি সত্বাকে চিনেছি আমার;
জেনেছি আমারে— তবু প্রশ্ন কিছু
উত্তর জানা নেই।