আমার কল্পনায় ছুটে চলি আমি এ পথ থেকে ও পথে,
কখনো রোদ, বৃষ্টি,ঝড় ঝাপ্টায়
ঠায় দাড়িয়ে থাকি
দাঁড়কাক হয়ে,
হয়তবা জল না ধরা কচুপাতা।
আমি তুচ্ছ, কৃষকের দিন-রাত পরিশ্রমের ফসল রক্ষার প্রয়াসে নিশ্চুপ
দাড়িয়ে থাকি ক্লান্তিহীন,
কখনো হ্যাচকা টানে কারো হাতে উঠে আসি অস্তিত্ব ফেলে,
বৃষ্টির ছাট থেকে বাঁচাতে তার
জ্বরাক্রান্ত তপ্ত মাথা
তবুও কষ্ট নেই, সুখি আমি।
বস্তু, প্রকৃতি ছেড়ে যখন মানবী আমি, তখন ব্যস্ততা অফিসের
গাদা গাদা কাজের সাগরে ডুবে থাকায়,
কখনো তার ফাঁকে ছন্দ সুরহীন
কম্পিত ফোনের রিসিভার জানান দেয় ছোট ভাইয়ের নতুন
প্রয়োজনের কথা,
ভালোলাগার সে জিনিসটা তার চাই ই চাই।
আমার মুখে রাজ্যের খুশি,ব্যস্ততা তো ওদের
আশাপূরনেরই.!
বাবার ব্যস্ততাকে ছুটি দিতে,
মায়ের সেই স্বপ্নবাড়ি
তৈরীর ইট জমাতে ব্যস্ত আমি।
আমার কোনো ছুটির দিন নেই,
সময় নেই পার্কের কোণে প্রেমিক নামী কারো হাত ধরাধরি করে বসে
আকাশ দেখার।
প্রেম বিলাসী প্রাণের ভিড়ে আমার ঠাঁই নেই,
আমি যে মমতাবিলাসী হতে এসেছি!
আমার চোখে একরাশ বিশ্রী ভয়,
দূর্বল নিরাপত্তায় পথের ধারে বেড়ে ওঠা মেয়ে গুলোকে নিয়ে
কি জানি কি কালো,কুশ্রী
অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় হচ্ছে ওরা!!
আমি কারো সহধর্মিণী
নয়, মা হবো।
সেই দূর্বল নিরাপত্তায়
বেড়ে ওঠা শিশুগুলোর মা।
মমতার উষ্ণ ছোঁয়ায় ঘুম
পাড়াবো ওদের,
ভয়হীন প্রশান্তির ঘুম।
আমারও খুব ঘুমাতে ইচ্ছে করে,
ভয়হীন প্রশান্তির ঘুম;
বিশ্রী, কুশ্রী দুঃস্বপ্নহীন ঘুম।
আমার ভাবনারা বড় অশান্ত, অবাধ্য
ছুটে চলে ক্লান্তিহীন আমায় ক্লান্ত করে,
আমি ব্যস্ত সেই অশান্ত, অবাধ্য
কল্পনাদের বাস্তবতার ছোঁয়া দিতে,ব্যস্ত নিজেকে ব্যস্ত করতে,
শত কাজের আড়ালে নিজেকে স্বান্তনা দিতে,
আমি ব্যস্ত কারো সুখের কারন হতে
আমি ব্যস্ত সবার মাঝে নিজেকে
হারাতে, বেঁচে থাকতে তাদের মাঝে।
স্বত্ব ও দায় লেখকের…