‘মা, তুমি আমার স্বর্গ,
ষোড়শোপচারে তোমায় দিব পূজা, সাথে আছে অর্ঘ্য;
জননী, তোমার চরণতলে আমার বেহেশতো,
স্বীকার করিয়াছে স্বয়ং আল্লাহ্-রাসূল-ফেরেশতাও।
‘মা, তুমি করিয়াছ দান আমার এই জীবন,
পরিণামে সহিয়াছ অনেক রক্তক্ষরণ!
মা, তুমি আনিতে আমায়, এই ধরায়,
নিরবে আলিঙ্গন করিয়াছিলে দশ মাস দশ দিন, দুঃখ-কষ্ট-জরায়।
‘মা, আমি না বুঝিয়া দিয়াছি তোমায় কতো ক্লেশ,
ক্ষমা করে দিও মোরে, সেই দুঃখের নাইকো আমার শেষ।
দিয়েছো মা তুমি আমায় অনেক কিছু,
চেয়েছো শুধুই আমার সুখ, হঠোনি একটুও পিছু।
‘মা, আকাশ-সম তোমার হৃদয়,
যাহা দ্বারা সুশীতল রাখিয়াছ আমায়, বটবৃক্ষের ন্যায়।
কখনো বুঝতে দাওনি বেদনা-বিধূর
তাইতো আমার অবস্থান এতো মধুর।
যে তনয়-তনয়া মাতা-পিতার সেবা নাহি করে,
ব্যর্থ তাদের জীবন, নিষ্ফল আগমন এই ভুবন মাঝারে।
যে সন্তান কারনে-অকারনে মাতাকে দেয় কষ্ট,
ঈশ্বর-আল্লাহ্ করিবে না ক্ষমা, জীবন হবে তাদের নষ্ট।
যদিও মা আছি আমি তোমা হতে দূরে
তোমার মমতার সন্ধান করি ঘুরে-ফিরে।
প্রভুর নিকট করি আমি এই মিনতি-
সারাক্ষণ আমার মাকে রেখো তুমি সুখী।
‘মা, কখনো তুমি ভেবো না, ভুলে গেছি আমি তোমায়,
যদি এমন হয়, তখন মৃত্যু যেন ডেকে নেয় আমায়।।