সকল তন্ত্রের সেরা তন্ত্র গণতন্ত্র জানি।
বেশি লোকের এক মত হওয়া মূল লক্ষে পৌঁছে যাওয়া
বিশ্বময় নন্দিত, আমরা সবে মানি।
গণতন্ত্রের জনক যিনি এ্যারিস্টটল নাম।
ভেবে চিন্তে দিলেন তত্ত্ব আত্ম সমালোচনায় নিজেই মত্ব
দার্শনিকের গুরুর গুরু অনেক ঝরালেন ঘাম।
তাঁর ভাষায় গণতন্ত্র মাথা গণনা করে।
যদি পায় সংখ্যা বৃদ্ধি তাতে তাদের বাড়ে সমৃদ্ধি
মগজের হিসাব উড়ে যায় মগজহীনের ডরে!
সুযোগীর নিজ ব্যাখ্যা বাহুবলের তন্ত্র।
অপমৃত্যু মানবিকতার হানানহানি চারিধার
গণতন্ত্র পালিয়ে বেড়ায় মিথ্যা মোক্ষম অস্ত্র।
নিজের তন্ত্রকে গণতন্ত্রও বলে স্বেচ্ছাতন্ত্রের দল।
ঝাঁকে-ঝাঁকে আসবি দলে সমর্থন করতালে
ভাবান্তরের সুযোগ নেই,গণ-স্বৈরতন্ত্রের ফল।
গণতন্ত্রের বুঝিস কি,ডাকলে আসবি সবে।
যেদিক দেখাব সেই পথে ইচ্ছেমত চলবি স্রোতে
খাবি-দাবি খুন ঝরাবি মাতবি উৎসবে।
গণতান্ত্রিক স্বৈর-তন্ত্র মহা পরমাদ।
চলে না সত্য ভাষণ টলে ওঠে বিবেক আসন
তালে তাল না মিললে বড়ই অপরাধ!
বাকশক্তি আর বাকপটুতায় গণতন্ত্র কোথা।
পুষ্পফুল্ল পথে প্রমান কর্মীর হাত ছোঁয় প্রাণ
মানব সমাজে বুক ফুলিয়ে বলে তাদের কথা।
এমন তন্ত্রের ভূমিকা নেই দলীয় গণতন্ত্রে।
ব্যাক্তির মধ্যে না থেকে বদ্ধ উদার গতিতে হয় সমৃদ্ধ
সুবাতাসের প্রতিধ্বনী কর্মযোগীর মন্ত্রে।
ভাল মানুষের এক নায়কতন্ত্র কখনো সৌরভে।
উন্নয়নে তমশা হটায় প্রষ্ফুটিত শাখা-প্রশাখায়
জাতীয় চেতনার উন্মেষ ছড়ায় স্ব গৌরবে।
অব্যাহত গতি তার,চর্চা নয় ক্ষণে- ক্ষণে।
আলোকিত মনের কোন কলুসতা বিসর্জন
ঘরে-ঘরে পৌঁছে যায় প্রীতি সমীরণে।
ভালোর থেকে আরো ভাল যত তন্ত্র দাও।
চেতনার না হলে বিকাশ গণতন্ত্রের হয় না প্রকাশ
অনিয়মের বলি হয়ে নাকাল হবে তাও।
স্বেচ্ছাতন্ত্রে জনগণ দর্শক,শুধু দাসের দাস।
আশা ত্যাজে বিষাদ ভরে হা-হুতাস সম্বল করে
প্রথম সুযোগেই উল্টে দেয়,পরায় গলায় ফাঁস।
গণতন্ত্রের অর্থ নয় শুধু বেশি লোকের চাওয়া
চাহিদার লাগাম টেনে পরষ্পর সুখ-দু:খ মেনে
সংখ্যাগুরুর সমর্থনে সত্য খুঁজে পাওয়া।
স্বত্ব ও দায় লেখকের…