স্বাধীনতার জন্য যারা প্রান বিসর্জন দিল, পঙ্গুত্বকে বরন করে নিল শুধুমাত্র স্বাধীনদেশের খোলা আকাশের মুক্ত বাতাস বুকে ধারন করার জন্য। আজকে তারা নিগৃহিত সন্ত্রাসী বাহিনীর পঙ্কিল হাতে।
সম্প্রতি মোরেলগঞ্জে উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের আলির বাজার এলাকায় রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় মোজাম্মেল সিকদার। তার খুনকে কেন্দ্র করে এলাকায় চলে ভয়াবহ তান্ডব।
প্রকাশ্য দিবালোকে চলে লুটতরাজ, ত্রাসের রাজত্ব। অনেক মানুষ প্রানের ভয়ে গ্রাম ছাড়া। আর যারা গ্রাম ছাড়ার অবকাশ পাননি তারা রাতে আতঙ্কে স্ত্রীর সাথে কানে কানে কথা বলে।
এই ভযাবহ অবস্থায় সহগ্রাম জিউধরা নিবাসী বিশিষ্ট বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ ছত্তার হাওলাদার নিম্নকন্ঠে প্রতিবাদ তুললে- খুলনার লবনচরা ও বানরগাতি এলাকার চিন্হিত সন্ত্রাসী আল-আমিন (ওরফে কালাবাবু) যিনি পিরোজপুর ব্যাংক ডাকাতির আসামী এবং ডাকাতিসহ খুনের অসংখ্য মামলা তার ঘাড়ে ঝুলন্ত থাকা সত্বেও তার সহোদর ভাই কামরুল সিকদার, মোহাজ্জেল সিকদার ও আয়নাল সিকদার একত্রে এসে আঃ ছত্তারকে তার বাড়ীর সামনে ঘিরে ফেলে বেদমভাবে অপমান করে এবং শেষ পর্যন্ত জোরপুর্বক থানায় সোপর্দ করে ১৫৪ ধারায় চালান করিয়ে জেল হাজতে ঢুকিয়ে দেয়।
বিশিষ্ট বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ ছত্তারের বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা নেই। এদিকে তার বাড়ী লুটপাট করে তার মাসিক মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিয়ে ক্রয় করা গরু-বাছুর, ঘেরের মাছসহ ঘরের সৌরবিদ্যুতের মালামাল ও গৃহস্থলী অন্যান্য মালামাল লুট করিয়া আত্বসাৎ করে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখাযাবে মুক্তিযুদ্ধকালীন আঃ ছত্তার তৎকালীন দক্ষিন অঞ্চলের কমান্ডার আ.স.ম কবীর আহম্মদ মধু ভাইয়ের দলে নুরুল ইসলাম হাওলাদার (বড় নুর মিয়া) এর অধীনে জিইধরা ইউনিয়নের ঢালীবাড়ী ক্যাম্পে উপস্থিত থাকিয়া তৎকালীন হানাদার পাকিস্তানী ও রাজাকার বাহিনীর বিরুদ্ধে ফুলহাতার বাজার, খারইখালী ও কচুবুনিয়া এসে বিভিন্ন জায়গায় প্রান বাজি রেখে বিভিন্ন যুদ্ধে অংসগ্রহন করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সে অস্ত্র সমর্পন করে মিলিশিয়া বাহিনীতে যোগদান করে বাগেরহাট ক্যাম্প থেকে ভাতা ও মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহন করেন। তিনি বর্তমানে ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা (আই.ডি.নং-৩৭৯৭)। তার বয়স সত্তোরর্ধো। তিনি হাই প্রেসারের রোগী। দীর্ঘদিন কারাবাস তার মৃত্যুর কারন হতে পারে।
বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্ত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে।
স্বত্ব ও দায় লেখকের…