“সুন্দরবন নয়, বাঁচান আপনার ভবিষ্যত” এই স্লোগানকে সামনে রেখে, সুন্দরবনের বুকে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে, দেশ-মাটি-প্রাণ ও আগামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে, একজোট হয়েছে বাংলাদেশের তরুন প্রানের মেলা, তরুনদের সংগঠন, সাংস্কৃতিক জনপদ – ‘মৌলিক বাংলা’
৮ আগস্ট, শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ‘মৌলিক বাংলা’ পায়ে হেঁটে লং মার্চ অভিযানের সূচনা করে। আজ ১৪ আগস্ট, বর্তমান তারা রামপাল প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
◘ পায়ে হাঁটা লং মার্চের গতিপথ:
ঢাকা প্রেসক্লাব → কেরানীগঞ্জ→ শ্রীনগর →মাওয়া →শিবচর →হোসেনপুর→ মহিষমারি→ গোপালগঞ্জ→ ঘোনাপাড়া→ মোল্লারহাট →ফকিরহাট→ কাটাখালি→ রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র →মংলা →ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প →সুন্দরবন।
লং মার্চে অংশ গ্রহন করা প্রায় ৫০ জন কর্মীর প্রত্যেকেরই অবস্থা শোচনীয়। শহরের আভিজাত্যে বড় হতে থাকা তরুনের দল, যাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যান্ড শিল্পী, আর্টিস্ট, সাহিত্যিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, তারা আজ রাজপথের ধূলা গায়ে মাখছে। প্রায় ৩০, ৩৫ জনের পা আর নড়তে চাচ্ছে না। পায়ের তলাতে ফোসকা পরে পা ফুলে একাকার অবস্থা। কারো আবার পা ফেটে রক্ত ঝরতেছে। অসুস্থ হয়ে পরেছে অনেকেই। দিনে তারা হাঁটছেন, খাবারের ঠিক নেই, যেখানে ইচ্ছে করছে স্বল্প কিছু মুখে দিচ্ছেন, আর রাতে স্কুল বারান্দায় অবস্থান করছেন।
তবুও তাদের সকলের মুখে একই বানী- ‘মৌলিক বাংলা’ দেশকে ভালবাসার জন্য এক জীবন বাজি রেখেছে, তাই পরোয়া নেই। দেশপ্রেমিকদের সংঙ্গী করে, শুধুই ভালোবেসে সুন্দরবন বাঁচাতে তারা এই দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে যাবে, লড়ে যাবে।
‘মৌলিক বাংলা’র সাথে একাত্মতা পোষণ করতে রামপালে যোগ দেন তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাগেরহাট জেলা শাখা; বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাগেরহাট জেলা সংসদ এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাগেরহাট জেলা সংসদ এর নেতৃবৃন্দ।
– বেলাল হোসাইন বিদ্যা
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাগেরহাট জেলা সংসদ।
স্বত্ব ও দায় লেখকের…