নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের আধার আমাদের সুন্দরবনের। এর নৈশব্দ ঘেরা পরিবেশ, বাঘ, হরিণ, কুমির বা সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত অবলোকনের পাশাপাশি বিশাল এই সুন্দরবনের গহীণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন।
পাঁচ থেকে সাত শত বছর আগে এই বন ও তার বঙ্গোপসাগরমুখী নৌ-পথকে (লবন পথ বা Salt Route) কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছিলো বেশ কিছু বন্দর ও জনবসতি।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের অধিন দুর্গম সেখের টেক এমনই একটি স্থান।
এখানে রয়েছে বাংলার বারো ভুইঞার অন্যতম, যশোরের মহারাজা প্রতাপাদিত্যের ইতিহাসখ্যাত ‘শিবসা দূর্গ’, দূর্গ প্রাচীর, বিভিন্ন দালান কোঠা ও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এবং স্বচ্ছ সুপেয় পানির দিঘি।
সুন্দরবনে লুকিয়ে থাকা এ সব স্থান সম্পার্কে বস্তারিত জনতে আগ্রহীদের স্মরণাপন্ন হতে হবে ইতিহাস গ্রন্থের আর দেখতে যেতে চাইলে প্রথমেই যোগাযোগ করতে হবে বন বিভাগের সাথে।
এছাড়া বর্তমান বর্তমান রামপালের রামপাল দিঘি, ঝলমলিয়া দিঘি, পূর্ব সুন্দরবনের শেলা নদীর নন্দবালা খালসংলগ্ন বনের বকুল দিঘি, করমজল জঙ্গল ও পশুর নদীর পশ্চিম তীরের পুকুর, বাড়ির ধ্বংসাবশেষ এবং কালিকাবাড়ি খালের মুখে কালিবাড়ির ধ্বংসস্তুপসহ বেশ কিছু নিদর্শন।
এসব নিদর্শন শুধু খেয়ালী পর্যটক বা ভ্রমন পিয়াসুদের জন্যাই নয় নি:সন্ধে তা ভিষণ আগ্রহ ও কৌতুহলের উৎস হতে পারে যে কারো কাছে।