বঙ্গোপসাগরের জেলে বহরে হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক মাছধরা ট্রলারে গণডাকাতি এবং মুক্তিপণের দাবীতে ১০টি ট্রলারসহ অন্তত্য ৪০ জন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে দস্যুরা।
শুক্র, শনি ও রবিবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এবং সুন্দরবনের কটকা এলাকায় দস্যু বাহিনী দ্রুতগামী ট্রলার নিয়ে জেলে-বহরে হামলা ও লুটপাট চালায়।
এদিকে আবরও সুন্দরবনে জেলেদের ট্রলারে গণডাকাতি ও মুক্তিপণের দাবী অপহরনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবর্তী জেলে পল্লীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
অপহৃতদের মধ্যে সোমবার সকালে কোস্টগার্ডে দক্ষিণ জোনের (ভোলার) সদস্যরা ২০ জেলেকে উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, অপহৃত ও উদ্ধার হওয়া জেলেদের বাড়ী বাগেরহাটের শরণখোলা, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, তুষখালী, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা সদর, জ্ঞানপাড়া, চরদোয়ানী, বাদুরতলা ও জিয়ানগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের সবার পরিচয় যানা যায় নি।
সুন্দরবন ও বঙ্গপসাগরে মৎস অহরণে জড়িত জেলেদের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বনদস্যু রহমান ও জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা যৌথ ভাবে মুক্তিপণের দাবীতে ১০টি ট্রলারসহ তাদের ৪০ জন জেলেকে সুন্দরবনের গহীনে নিয়ে যায় এবং জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। আগামী চার দিনের মধ্যে মুক্তিপণের টাকা না পেলে অপহৃত জেলেদেরকে হত্যা করা হবে বলে দস্যুরা হুমকি দেয়।
কোষ্টগার্ডের পশ্চিম জোনের (মংলা) অপারেশন ষ্টাফ অফিসার লে: কমান্ডার এম. মহিউদ্দিন মজুমদার জানান, ১০ টি মাছ ধরার ট্রলার সহ ৪০ জনকে অপহরনের খবর শুনে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রলারসহ অপহৃত ২০ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া বাকী জেলেদের উদ্ধার ও দস্যু দমনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান। তবে কোন বাহিনী জেলেদের অপহরণ করেছে না নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি।
এব্যাপারে র্যার-৮ এর উপ-অধিনায়ক আনোয়ারুল কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জেলেদের উদ্ধারের জন্য র্যাবে একটি দল ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। আশা করি দ্রুত জেলেদেও উদ্ধার করা সম্ভব হবে।