একাত্তরে রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা একে এম ইউসুফের লাশ বাগেরহাটের শরণখোলায় তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামে বাড়িসংলগ্ন মাঠে জানাজা শেষে তার মা আয়শা বেগমের কবরের পাশে মাওলানা ইউসুফের লাশ দাফন করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে একটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে মাওলানা ইউসুফের লাশ উপজেলার রাজৈর গ্রামে তার বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এর আগে ভোরে এলাকায় মাইকিংক করে তার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বাড়ির সামনে ধানক্ষেতে সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেয় প্রায় সাড়ে প্রায় তিন হাজার মুসল্লি। জানাজায় ইমামতি করেন মোরেলগঞ্জের আমতলা কামিল মাদ্রাসার আবুবক্কর মো.আব্দুল্লাহ ওরফে আমতলা পীর।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সালেক জানান, জানাজার লাইনে দাঁড়িয়ে জেলা শিবিরের সভাপতি আজমল হোসেন সরকার বিরোধী বক্তব্য দিলে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ সে খানে ছুটে গেলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে জানাজা শেষে ইসুফের লাশ তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, মাওলানা একে এম ইউসুফের জানাজায় জেলা জামায়াতের পক্ষে জেলা আমীর মাওলানা মশিউর রহমান আংশগ্রহণ করেন। তবে ইউসুফের মৃত্যুতে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি বলে তিনি জানান।
প্রসংঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা একে এম ইউসুফ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার মারা যান।
মাওলানা একে এম ইউসুফ বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মুন্সি আজিজ উদ্দিনের ছেলে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গত বছর ১২ মে ঢাকা থেকে মানবাতাবিরোধী অপরাধে তাকে গ্রেফতার করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা বিচারাধীন রয়েছে।