উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বাগেরহাটে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। প্রার্থীদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বাগেরহাটে আসতে হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের।
বাগেরহাট সদর ও ফকিরহাট উপজেলার প্রার্থীদের মনোনয়ন নিশ্চিত করলেও কচুয়ার ব্যাপারে কোন সমাধান দিতে পারেন নি কেন্দ্রীয় নেতারা।
অপরদিকে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির একক প্রার্থী জাহিদ সরদার এই উপজেলায় প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত নির্বাচনে এই উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম মাহাফুজুর রহমান নির্বাচিত হন। বিএনপি প্রার্থী শেখ নজরুল ব্যাপক ভোটে পরাজিত হয়।
এই বছর প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, আ’লীগ যদি তার সমাধানে আসতে না পারে, তাহলে এ উপজেলার জয় এবার বিএনপির ঘরে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় মোট ভোটার ৬৭,৫৮৬জন। তার মধ্যে পুরুষ ৩৩,৭৮৪জন ও মহিলা ৩৩,৮০২জন।
জানা যায়, উপজেলার চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের আহবায়ক এস.এম.মাহফুজুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মীর জয়েসী আশরাফি জেমস এবং সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজরা দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মাঠে নেমেছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আ’লীগ দলীয় কার্যালয়ে কচুয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সদস্য এ্যাডঃ মোস্তাহিদুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের একাংশের সদস্য সচিব শিকদার কামরুল হাসান কচি, অপর অংশের সাধারন সম্পাদক শিকদার আবু বকর সিদ্দিক, আ’লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মীর জয়েসী আশরাফী জেমসসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আ’লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী, আ’লীগের এক অংশের আহবায়ক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এস. এম. মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।
এস. এম. মাহফুজুর রহমান মুঠো ফোনে জানান, আজ তারা মিটিং ডেকেছে। এটা খুব খারাব কাজ। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে। আজ মিটিং ডেকে তারা দল বহির্ভুত কাজ করেছে। এজন্য দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
একটি সূত্রে জানা যায়, ৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় নেতা ড.আব্দুল রাজাক ও বি এম মোজাম্মেল সহ কয়েক নেতা দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য বাগেরহাটে আসেন। এ দিন তারা কচুয়া যান।
সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মীর জয়েসী আশরাফি জেমসকে প্রার্থী ঘোষনা দেয়ার জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন।প্রায় ঘন্টা খানেক এমন পরিস্থিতি চলে। কিন্তু তারা কাউকেই ঘোষনা না দিয়ে ঢাকা চলে যায়।
কচুয়ার প্রার্থী মনোনয়নের ঘোষনা ঢাকা থেকে দেয়া হবে বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করেন।
এবিষয়ে, জেলা আ’লীগের সাধারন শেখ কামরুজ্জামান টুকু বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, কচুয়ায় আ’লীগের কমিটি নিয়ে কিছু জটিলতা আছে। সে কারণে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী এখনও মনোনিত করা হয় নি। কেন্দ্রীয় নেতারা এসছিলেন। তারা হয়তো এ ব্যাপারে সিন্ধান্ত দেবে।
তিনি আরাও বলেন, উপজেলা আ’লীগের কমিটির একাংশ মিটিং ডেকে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রার্থী নির্বাচনের সিন্ধান্ত নেয়। এ মর্মে তারা আমাদের কাছে চিঠি পাঠায়। আমরা জেলা কমিটি মিটিং স্থগিত রাখার জন্য তাদের আনুরোধ জানাই। কিন্তু তারা আমাদের অুনরোধ শোনেন নি।