সুন্দরবনে বনদস্যু এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানোর সময় গুলিতে এক র্যাব সদস্য এবং তদের ট্রলারের চালকসহ অন্তত্য ৮ থেকে ১০ দস্যু গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের নারকেলবাড়িয়া এলাকায় বনদস্যু রেজাউল ওরফে শীর্ষ বাহিনীর সঙ্গে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব-৮) এর ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এসময় বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ বাহিনীর প্রধান শীর্ষসহ অন্তত ৮ থেকে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে র্যাব দাবী করেছে।
আহতদের মধ্যে বনদস্যু শীর্ষ বাহিনীর প্রধান রেজাউল ওরফে শীর্ষ এবং তার সহযোগী সালেহ হুজুর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব। তবে এসময় কাউকে আটক করতে পারেনি তারা।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আনোয়ারুল কবীর সুন্দরবন থেকে মুঠোফোনে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বনদস্যু রেজাউল ওরফে শীর্ষ বাহিনীর প্রধান রেজাউল ১০-১৫ জন সদস্য নিয়ে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের নারকেলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল রাতে সেখানে অভিযানে যায়।
এসময় শীর্ষ বাহিনী তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। রোববার রাত ১১টা ৫ মিনিট থেকে ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে এ বন্দুকযুদ্ধ চলে।
এতে শীর্ষ বাহিনী প্রধান রেজাউল ও তার সহযোগী সালেহ হুজুরসহ অন্তত আট থেকে দশজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
তিনি আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ বনদস্যুরা সুন্দরবনে গহীনে পালিয়ে গেছে। বন্দুকযুদ্ধে র্যাব বিভিন্ন ধরনের ৪৭৪ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। এসময় তাদের ট্রলারের চালক ও এক র্যাব সদস্য সামান্য আহত হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আনোয়ারুল কবীর বলেন, বনদস্যু দমন এবং তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এবিএম হাবিবুর রহমান বলেন, রোববার মধ্যরাতে সুন্দরবনে র্যাব অভিযান চালালে সদ্যুদের গুলিতে আহত ওই র্যাব সদস্যকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হচ্ছে। তবে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ গুলিবিদ্ধ কারো পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।