ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীতের কারণে সারাদেশের ন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাগেরহাটের জনজীবন। শৈত্য প্রবাহের ফলে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ।
ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম, বিশেষ করে চরমে পৌঁছেছে গরিব মানুষের দুর্ভোগ। শীত বেড়ে যাওয়ায় সবাই ভীড় করছে গরম কাপড়ের দোকানে। সাধ্য বুঝে যে যার মতো কিনছেন নতুন পুরাতন কাপড়।
বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের পক্ষে নতুন কাপড় ক্রয়ের সংগতি না থাকায়, বাধ্য হয়েই একটু কম মূল্যে গরম কাপড় কিনতে তারা ছুটছেন ফুটপথ এবং অস্থায়ী শীত বস্ত্র মার্কটে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা বাড়িয়ে দিয়েছেন গরম কাপড়ের দাম।
অপরদিকে তীব্র শীতের ফলে কমলমতি শিশু ও বৃদ্ধের মাঝে বাড়ছে নানাবিধ ঠান্ডা জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। শীতে কারণে ইতিমধ্যে হাসপাতালে শিশু রোগীর পাশাপাশি বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বড়দের জ্বর, সর্দি-কাশি, হাচি, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট রোগ লেগেই রয়েছে। আর প্রতি নিয়ত হাসপাতালে বাড়ছে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা।
সরজমিন বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে শিশু ও নারী-পুরুষ মিলে বর্হিবিভাগে প্রায় ৩০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া হাসপাতালের মহিলা ও শিশু বিভাগে রোগী বেশি থাকায় তীব্র শীতেও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
এদিকে, শৈত্য প্রবাহের ফলে ঘন কুয়াশা পান ও সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন জেলার চাষীরা। অধিকাংশ বাড়ীর হাস-মুরগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
ঘন কুয়াশার ফলে ব্যাপক ভাবে বিঘ্ন ঘটছে যানবাহন চলাচলে। সকাল ১১টা পর্যন্তও অনেক যানাবাহন হেড-লাইট জালিয়ে কুয়াশার ভেতর দিয়ে ধীরে ধীরে চলাচল করছে।
সন্ধা নামতেই একটু উষ্ণতা পেতে বাড়ীর উঠানে বা রাস্তার পাশে কাগজ ঝোপ-ঝাড়ে আগুন জালিয়ে নিজেকে গরম রাখতে চেষ্টা করছেন অনেকে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।