জামায়াত! বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যার পূর্বনাম ছিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। নানা কারেণ গত কয়েক বছর ধরে আলোচলার কেন্দ্র বিন্দুতে দলটি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা, একাত্তরে গণহত্যাসহ নানা ইসুতে বিতর্কিত দলটি। চলতি বছরের ১লা আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন সম্পর্কিত একটি রুলের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট দলটির নিবন্ধন অবৈধ এবং অযোগ্য ঘোষনা করে নির্বাচনে।
নির্বাচনি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সারা দেশে ব্যাপক জন সমর্থন না থাকেও ভোটের মাঠে সব দলের কাছেই বেশ গুরুত্ব পূর্ন দলটি। তাই প্রয়োজনে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মত বড় দল গুলো সাথে রেখেছে দলটিকে।
সবশেষ একাত্তরে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীরের বিচার শুরু হলে নিজেদের নেতাদের বাঁচাতে দলটি যায় হার্ডলাইনে। সাথে সাথে দলের অন্য নেতা-কর্মীরা ও নানা কারনে যেতে থাকে জেলে। আস্তে আস্তে নাশকতা মূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততা বড়তে থাকে দলটি। একই সাথে তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের নামও বেশ গুরুত্বের সাথে আসতে থাকে নাশকাতা শব্দটির সাথে।
তবে দেশের অনান্য জেলার সাথে তুলোনা করলে বেশ শান্ত বাগেরহাট। বরাবরই রাজনৈতিক দাঙ্গ-হাঙ্গা বা সহিংসতা তুলোনা মূলক বিচারে অনেক কম বাগেরহাটে।
পুলিশের হিসাবে জেলার যে সকল স্থানে জামায়াত-শিবিরের শক্ত ঘাটি সেসব স্থানেই নাশকাত চালাচ্ছে তারা। সূত্র মতে, জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট, ফকিরহাট উপজেলার কাঠালতলা, কাটাখালি, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার কয়েকটি এলাকা এবং সদরের দশানী জামায়াত শিবিরের ঘাটি। আর এ সব এলাকায় তাদের তৎপরতাও বেশি।
তবে পুলিশেল সাথে সম্প্রতি দুটি সংঘর্ষের পর তারা কিছুটা দমে গেছে বাগেরহাটে। কয়েক দিন যাবত আগের মত আর দেখা মিলছে না রাজপথে।
জানা যায়, চলতি বছরের ৫ মে কাটাখালি হেফাজাতে ইসলামের সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ১ জন মারা যায়। আহত হয় বেশ কয়েক জন। এর পর পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ১১ ডিসেম্বর এতে তিন জন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত ২০ আহত হয়।
সবশেষ চলতি মাসের ১৫ তারিখে সদর উপজেলার দশানীতে শিবিরের বাগেরহাট জেলার সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হক রাহাতকে ধরতে গেলে পুলিশের সাথে জামায়াত শিবিরের সংঘর্ষ বাধে। এতে সদর থানার ওসি সহ ৫ পুলিশ সদস্য এবং জামায়াত শিবিরের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব এলাকায় রয়েছে জামায়াত-শিবিরের শক্ত ঘাটি।
রামপাল উপজেলায় বাড়ি জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, সাধারন সম্পাদক এ্যাড আব্দুল ওয়াদুদ এর। এছাড়া জনপ্রিয় সাবেক শিবির নেতা রাহাতের বাড়ি সদরের দশানী। তাই রামপাল ও বাগেরহাট সদরে দশানী তাদের তৎপরতা বেশি।
এব্যাপারে বাগেরহাট পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, জেলার বামপালের ফয়লা, ফকিরহাটের কাটাখালি, কাঠালতলা ও উজলপুর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মী সমর্থক বেশি। তাই এসব এলাকায় মাঝেই তারা তৎপরতা চালায়।
তাই এসকল এলাকায় জামায়াত-শিবির যাতে নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করতে না পারে সে জন্য গোয়েন্দা নজর দারি এবং পুলিশের সতর্ক তৎপরতা বাড়ান রয়েছে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।