সুন্দরবনের বনদস্যু কিলার দিয়ে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে হত্যার ঘটনা ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের ৩ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের বাদশা হাওলাদার (৪৫) হত্যার পর পুলিশ মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে সোমবার গভীর রাতে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হল, শরনখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সোনাতলা গ্রামের মৃত মালেক হাওলাদারের ছেলে জাকির হোসেন হাওলাদার (৩৫), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সদস্য ও মৃত হাজী হাসেন উদ্দিনের ছেলে আ. হক হাওলাদার (৫৫) এবং সোনাতলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও মৃত আ. হামিদ হাওলাদারের ছেলে আ.রব হাওলাদার (৪৭)।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বনদস্যু কালু বাহিনী পরিচয় দিয়ে বাদশা মিয়া হাওলাদারকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে তার নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে বাদশা মিয়ার স্ত্রীকে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের রায়ের বাঘিনী নামক স্থানে যেতে বলে।
সে অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটার দিকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে বাদশা মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম, চাচা মোখলেস হাওলাদার ও প্রতিবেশী আলম তালুকদার সুন্দরবনের ওই ঠিকানায় যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ লাখ টাকা অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর সামনেই বাদশা মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে বাদশা মিয়ার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরণখোলা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফোকে জানান, প্রথমে এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম বাদি হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ে করেন। পরবর্তীতে সেটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
ঘটনার পরে মোবাইল কললিস্ট যাচাই করে ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাদশা মিয়া অপহরণ থেকে তাকে হত্যা করা পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া জাকির হাওলাদার তার মোবাইল ফোন থেকে অপরণকারীদের সঙ্গে ২৪ থেকে ২৫ বার কথা বলার প্রমান পাওয়া গেছে।
এসময় মামলার ঐ তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কাছ থেকে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে।
Related Post – মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করেও দস্যুদের গুলিতে প্রাণ দিতে হল
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: মহিদুল ইসলাম এর সহায়তায় ইনজামামুল হক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।