খনিজ সম্পদ সীমিত, নিয়মিত আহরনে নিঃশেষ হয়ে যায়! যেমন তেল, গ্যাস, কয়লা, সোনা ইত্যাদি। অখনিজ সম্পদ অফুরন্ত, সুষ্ট ব্যাবস্থাপনায় আহরন করলে এসম্পদ কখনোই শেষ হয়না। যেমন কৃষি জমি, বন, নদী, সমুদ্র, পাহাড় ইত্যাদি।
সুন্দরবন হাজার -হাজার বছর ধরে এ জনপদকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে। শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, পরিবেশ রক্ষায় এর অবদানই প্রধান। যা মানবজাতির জন্য সবছেয়ে গুরত্বপূর্ন। সোনার অভাব কয়লা দিয়েও মিটতে পারে, তেলের অভাবও জল দিয়ে মিটবে হয়তো, কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প হবেনা।
মায়ের বিকল্প মা, সুন্দরবনের বিকল্প সুন্দরবন।
আমরা ভূলে গেছি যে, সারা দুনিয়ায় আর একটিও সুন্দরবন নেই। থাকলেও তাতে আমাদের কোন অধিকার নেই।
এমনিতে গত বেয়াল্লিশ বছরে বহু বনজ সম্পদ বিনাশ করা হয়েছে। আমরা সচেতন নই, তাই সোচ্চার নই। পার্বত্য চট্রগ্রামে ব্রিটিশদের লাগানো লাখ-লাখ মুল্যবান সাল, সেগুন গাছ গিলে ফেলেছে আওয়ামি বিএনপির খাদক, দানব, জোচ্চোর, দূবৃর্তরা। যা ছিলো একদিকে গরীব মানুষের সম্পদ, অন্যদিকে কৃষি প্রধান দেশটির জলবায়ু রক্ষার একমাত্র হাতিয়ার।
কিন্তু জোচ্চোর, ডাকু সরকারের তাতে কিছু আসে যায়নি। আবার সামাজিক বনায়নের নামে সেসব পাহাড় দখল করে নিয়েছে স্থানিয় প্রভাবশালীরা। যাতে সমূলে ধংস হয়েছে প্রাকৃতিক বন।
তাই বনজ সম্পদ বলতে আমাদের এখন অবশিষ্ট আছে শুধু সুন্দরবন। যা দেশেও একটা, বিশ্বেও একটা। সুতারাং এই বনের কাছে মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্র একেবারেই অযোক্তিক, অগ্রহনযোগ্য।
তাই সুন্দরবনের কাছে অলাভজনক বিদ্যুত কেন্দ্র মানিনা।
লেখক- আনোয়ার হোসেন।।