বাগেরহাট- খুলনা মহাসড়কের কাটাখালী মোড় ও খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের মোল্লাহাটের মাদ্রাসা ঘাট এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২জন নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাগেরহাট থেকে সোনাডাঙ্গার উদ্দেশ্যে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাটাখালী এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাসকে চাপা দিলে ওই মাইক্রোর হেলপার সোহেল নিহত হয়। এ সময়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই যাত্রীবাহী বাসটিতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মহাসড়ক অবরোধ করে। ফলে দীর্ঘ প্রায় আড়াই/তিন ঘন্টাব্যাপী উক্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
এসময় বাগেরহাট-খুলনা এবং খুলনা-মাওয়া মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনে।
বাগেরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) অবনী দাস বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বাগেরহাট থেকে খুলনার সোনাডাঙ্গার উদ্দেশ্যে আসা একটি যাত্রীবাহি বাস ঢাকা মেট্রো (জ-০৪০০৮৫) ফকিরহাটের কাটাখালী এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোকে চাপা দিলে ঘটনা স্থলে ঐ মাইক্রোর হেলপার সোহেল (১৬) নামে এক কিশোর হয়।
নিহত সোহেল মাইক্রোবাসের হেলপার। সে ফকিরহাটের শ্যামবাগাত এলাকার প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুল আজিমের ছেলে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
এদিকে, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের মোল্লাহাটের মাদ্রাসা ঘাট এলাকায় একই সময় খুলনাগামী অজ্ঞাত একটি পরিবহনের ধাক্কায় মোল্লাহাটগামী একটি যাত্রীবাসী বাস উল্টে গিয়ে কালিকান্ত পাল (৪৮) নামের এক গাছের নার্সারী ব্যাবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে এসময় ঘাতক বাসটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
কালিকান্ত কার্তিকদিয়া গ্রামের মৃত গৌর চন্দ্র পালের ছেলে বলে জানা যায়। পৃথক মর্মান্তিক দু’টি দুর্ঘটনায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ফকিরহাট ও মোল্লাহাট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। এছাড়া একই দিন রূপসা-বাগেরহাট এলাকায় ২/৩ টি ছোট ছোট সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
২৪ আগষ্ট ২০১৩ :: ইনজামামুল হক, নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।