বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিভাবকরা জানন, বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাত করেছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ব্যাংক ও শিক্ষা কর্মকর্তা। একাধিক অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষক এ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থদেরকে কোটা অনুসারে প্রতি মাসে ১০০টাকা হারে ৬ মাসের এককালিন টাকা বিতরণ করা হয়। টাকা প্রদানকালে অধিকাংশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তার আপ্যায়ন, বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র মেরামত এবং ফ্যান ক্রয়সহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে কেটে রাখাহয়েছে।
এছাড়া বিদ্যালয়ে হাজিরা কম দেখিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আরো ৫০-১০০ টাকা করে কেটে রাখা হয়।
আবার অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকেরা কোটা পুরণের জন্য বিভিন্ন নামে শিক্ষার্থী বেশী দেখিয়ে তাদের নামে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করে থাকেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বছরের পর বছর এমন প্রতারণার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা সরকারের লাক্ষ লাক্ষ টাকা আত্মসাত করে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
১০ নম্বর মঠেরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমানার বাবা মো. জিয়ারুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফোর কাছে অভিযোগ করে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফ্যান কেনার কথা বলে আমার মেয়ের কাছ থেকে ১০০ টাকা কেটে রাখেন। এভাবে প্রত্যেকের কাছ থেকেই টাকা নেয়া হয়েছে বলে শুনেছি।
উত্তর কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক মোশারেফ হোসেন একই ধরনের অভিযোগ করে জানান, তার সন্তানের স্কুলে আপ্যায়ন খরচের কথা বলে প্রধান শিক্ষক প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০-১০০ টাকা কেটে রাখেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সহকারি শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের দূনীর্তি, অনিয়মে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মকর্তার সম্প্রিক্ততা রেয়েছে। এসব অনিয়মের মাধ্যমে তারা প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে এবিষয়ে তাদের কিছুই বলার নেই।
এব্যপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান মিলন উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযো অস্বীকার করে জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা কেটে রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই।
স্থানীয় কৃষি ব্যাংক শরণখোলা শাখার ব্যবস্থাপক সন্তোষ কুমার ডাকুয়া ব্যাংক থেকে কোনো টাকা কেটে রাখা কথা অস্বীকার করে বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী আমরা উপবৃত্তির টাকা দিয়েছি। কোন টাকা কাটা হয়নি।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।