মোরেলগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ফাল্গুনী পরিবহনের সাথে অপর একটি পরিবহনের মুখোমুখী সংঘর্ষে মোরেলগঞ্জের একই পরিবারের ৩ জনসহ নয়জন নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০.৩০ এর দিকেটায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জে মুকছুদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নয়জনের মধ্যে ৬ জনের বাড়ি বাগেরহাটে বলে জানা গেছে। এরা হচ্ছেন মোরেলগঞ্জের খাউলিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া গ্রামের হামেজ ফকিরের ছেলে দিনমজুর ফারুক ফকির(৩৫), তার স্ত্রী শিউলী বেগম(৩০) ও তাদের ৬ মাসের একটি শিশু কন্যা। গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের সালাম হাওলাদারের মেয়ে লাইজু বেগম(২৫) ও হোগলাবুনিয়ার ফকিরবাড়ি গ্রামের রুস্তুম শাহ ফকিরের পুত্র জাহিদ শাহ ফকির(৩৫) এবং পার্শ্ববর্ত শরণখোলা উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের মাষ্টার গোলাম সরোয়ার (৩৫)।
নিহত অন্যরা হলেন পটুয়াখালীর কেশবপুর উপজেলার সেতারা বেগম(৬৫), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার স্মৃতি বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে জয়া। দূর্ঘটনায় আহতদের বাড়ি গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস হোসেন জানান, সকালে গেড়াখোলা এলাকায় ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের (ঢাকা মেট্রো ব-০৪-৬০৭৬) একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা খুলনা থেকে ঢাকাগামী ফাল্গুনী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১১-০০১৬) একটি বাসের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়।
এতে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বাসটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই বাসের আট যাত্রী ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় আহত হন উভয় বাসের অন্তত ৪০ যাত্রী।
এ দুর্ঘটনার পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন স্থানীয় জনগণ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় আড়াই/তিনি ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, দূর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতদের স্বজনেরা ভাংচুর করে ফাল্গুনী পরিবহনের মোরেলগঞ্জ কাউন্টার এবং বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এ রুটের পরিবহনগুল অবরোধ করে রাখে।
পরে পুলিশ পাহারায় দুরপাল্লার পরিবহনগুলো মোরেলগঞ্জ ছেড়ে যায় বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
০৯ জুলাই ২০১৩ :: ইনজামামুল হক, নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।