সমুদ্রের গর্জন তার বুকে বার বার বিধঁছে বিষাক্ত তীর হয়ে,
তবু সে দাঁড়িয়ে রইল তীরের সামনে ।
বাতাসে উড়তে থাকা তার চুল আটকে ধরছে চকচকে বালি ।
সাদা ফেনা স্রোত ভিজিয়ে দিল তার সাদা থানশাড়ী,
চোখের লোনা জল চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে, সাগরের লোনা জলে ।
একের পর এক স্রোত তার পায়ের নিচ থেকে সরিয়ে নিচ্ছে বালিকনা !
তবু সে ঠায় দাড়িয়ে রইল ।
অতল গহবর থেকে উত্তরে আসা স্রোত তার পায়ের নখে জমছে নুন ।
লোনা ধরা সে শরীর হয়ত যে কোন সময় খশে পড়বে,
যেমন খশে পড়ে আকাশের শত, তারার মাঝে একটি অভাগা উল্কা ।
কৌতুহলি তাকে জিঙ্গাসা করলাম,
আপনি কি এখানেই থাকেন ?
একা একা এভাবে পানিতে নামছেন কেন ?
কথা তো ধুরে থাক, একবার ফিরে ও দেখলো না ।
হঠাত্ বির বির পায়ে নামতে লাগলো সাগরের দিক,
চেঁচিয়ে বললাম ‘ওদিকে যাবেন না’ !
বার বার বলতে লাগলাম,শুনলো না ।
দেখলাম মুহুতেই তার শরীর খসে, পড়তে পড়তে মিসে গেল সাদা-কালো ফেনিল স্রোতে ।
সাগরের বুকে এঁকে বেঁকে ভাসতে থাকলো,
তার ক্ষত-বিক্ষত সাদা থানশাড়ী ।
— মল্লিক স্বাধীন রহমান
স্বত্ব ও দায় লেখকের…
সাদা ফেনা স্রোত ভিজিয়ে দিল তার সাদা থানশাড়ী,
চোখের লোনা জল চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে, সাগরের লোনা জলে ।
শুধু গভীর নয় আরো অনেক বেশি গভীর!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অভিন্দন রইল …
আমি শুধুই লিখি কিন্তু এই লেখাকে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনি যেভাবে উপস্থাপন করেন তার সম্পূর্ন ক্রেডিট আপনার ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ইনজাম ভাই ।