সাভার রানা প্লাজা ভবন ধসে এখন পর্যন্ত জেলায় ১১ জন গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে এ জেলার কমপক্ষে ৩০ গার্মেন্টস কর্মী।
ইতিমধ্যে দাফন করা হয়েছে বাগেরহাট সদর ও চিতলমারীতে হতভাগ্য ৩ জনকে। নিহত ও নিখোঁজ গামের্ন্টসকর্মীদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
এদিকে চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের গামের্ন্টসকর্মী কবির শেখের (২৭) লাশ বাড়িতে পৌছানর পর শুক্রবার সকালে দাফন করা হয়।
একই গ্রামের আর এক নিখোঁজ গার্মেন্টসকর্মী নাজমার (৩৫) ভাই রাসেল মোল্লা জানান, তার বোনেরও তিন দিন ধরে কোনো খোঁজ মিলছে না। তার দুই ভাই ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বাগেরহাটের ১১ গামের্ন্টসকমীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এর মধ্যে সন্ধান মেলেনি তার বোন নাজমার।
সাভার ট্র্যাজেডি থেকে আহত হওয়া বাগেরহাটের চিতলমারীর হিজলা গ্রামের লাকি বেগম(২৫) আমাদের জানান, রানা প্লাজার চতুর্থ তলায় ফ্যানটম টেক্সট লিমেটেডে নামের গামের্ন্টসে অপারেটরের কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। তিন ঘন্টা আটকে পড়া লাকি উদ্ধার হয়ে বাড়িতে এসে আরো জানান, চিতলমারী উপজেলার কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ। এরা সবাই তার পরিচিত ও রানা প্লাজার বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ঘটনার সময় কর্মরত ছিল।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সাভারের ট্র্যাজেডির ঘটনায় ইতিমধ্যে চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের গামের্ন্টসকর্মী কবিরসহ দুজনের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে। এখনো উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কমপক্ষে ২৫-৩০ জন গামেন্টসকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া এই উপজেলার সব ইউপি চেয়ারম্যানকে রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় হতাহতের তালিকা করতে বলা হয়েছে।