নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবন থেকে শিকার করে আনা হরিণের ১৯টি চামড়াসহ দুই ‘পাচারকারী’কে গ্রেপ্তার করেছে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার দিনগত রাত পৌনে ২ টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের ব্র্যাক অফিসের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. মতিন হাওলাদারের ছেলে মো. ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫) এবং একই উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের মো. মোশারেফ শেখের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৫)।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং – এ তথ্য জানানো হয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
চারদিন আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা শরণখোলা উপজেলার পাঁচরাস্তা এলাকা দিয়ে সুন্দরবন থেকে শিকার করা একটি বেঙ্গল টাইগারের (বাঘ) চামড়াসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে বনবিভাগ ও র্যাব।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া হরিণের চামড়াগুলো লবন দিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করা ছিল। তবে সুন্দরবনের কোন এলাকা থেকে হরিণগুলো শিকার করা, কতদিন আগে শিকার করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি তারা।
‘এরআগে জেলায় এক সাথে এতোগুলো হরিণের চামড়া কখনো উদ্ধার হয়নি। এটাই হচ্ছে হরিণের চামড়ার সবচেয়ে বড় চালান’, বলে জানান বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) পংকজ চন্দ্র রায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি বলেন, একটি পাচারকারী চক্র সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে চামড়া পাচারের উদ্দেশ্যে বন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলায় জড়ো হয়েছে -এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে দুজনকে ধরে ফেলে পুলিশ।
‘পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শরণখোলা উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামে মনিরের (মনিরুল) বাড়ি অভিযানে যায় দলটি। সেখানে তাদের বাড়ির কাঠের দোতলা ঘরের পাটাতনের উপর দুটি ব্যাগে রাখা ছোট বড় মোট ১৯টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।’
এসপি বলেন, এই চক্রটি সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চামড়া পাচারের সাথে জড়িত। এই চক্রের সাথে আরও কারা জড়িত আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এসআই/আইএইচ/বিআই/২৩ জানুয়ারি, ২০২১