চুরির অভিযোগে ৯ যুবক গ্রেপ্তার
শহর প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটে বাসাবাড়ি থেকে মুঠোফোনসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির অভিযোগে ৯ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ওই যুবকদের গ্রেপ্তার করে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের সময় ওই যুবকদের কাছ থেকে একটি ইজিবাইক, একটি ভ্যান ও একটি বাইসাইকেল এবং ১৭টি আধুনিক অ্যানড্রয়েড মুঠোফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং-এ ওই তথ্য জানানো হয়। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এই চক্রে ২০ এর অধিক সদস্য রয়েছে। গ্রেপ্তার ৯ জন ছাড়াও এই চক্রের তিন সদস্য এখন কারাগারে আছে। বাকিদের ধরতেও অভিযান চলছে।
চক্রটি প্রধানত মুঠোফোন চুরি করত। চুরির পর মুঠোফোনের আইএমইআই নম্বর বদলে ফেলত তারা। এর জন্য তাদের আলাদা লোক ছিল। আইএমইআই বদলে তারপর তাঁরা ফোনগুলো বিভিন্ন জনের মাছে বিক্রি করত।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কচুয়া উপজেলার উত্তর মাধবকাঠি গ্রামের মো. সাহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদুল (২৯), একই উপজেলার দক্ষিণ মাধবকাঠি গ্রামের নাইম হোসেন (২৪), বয়াসিংগা গ্রামের মো. বাদল শেখ (২৪), চিতলমারী উপজেলারর ব্রহ্মগাতি গ্রামের মো. জুয়েল শেখ (২৩), একই উপজেলার কলিগাতি গ্রামের মো. সুমন শেখ ওরফে হাতেম চোরা (২০), সদর উপজেলার আতাইকাঠি গ্রামের সোহরাব মোল্লা ওরফে তুফান (২২), দেপাড়া গ্রামের মো. রাকিবুল ইসলাম ওরফে বাবু (১৯), শরণখোলার ধানসাগর গ্রামের মাসুদ রানা ওরফে ফোরকান (২৩) ও বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার মনিরুল ইসলাম ওরফে মোল্টে (২৮)।
পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, সদর উপজেলার কাড়াপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে সম্প্রতি চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় থানায় করা মামলার তদন্ত করলে পুলিশ একটি চোর চক্রের সন্ধান পায়। ওই চক্রটিকে ধরতে পুলিশ একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের কাছ থেকে একটি ইজিবাইক, একটি ভ্যান ও একটি বাইসাইকেল এবং ১৭টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
এই চক্রের মধ্যে কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাসাবাড়িতে ঢুকে চুরি করছিলেন।চক্রের সদস্যরা গত কয়েক মাসে প্রায় দেড় হাজার মুঠোফোন চুরির কথা স্বীকার করেছেন।
পংকজ রায় আরও বলেন, ‘সাম্প্রতি এই চক্রটি শহরতলীর কাড়াপাড়া এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ভয়ভীতি দেখিয়েও একাধিক চুরি করে। বাগেরহাট ছাড়াও তারা খুলনা থেকে দেড় শতাধিক মুঠোফোন চুরি করে। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে তা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে আসছিল এরা।’
এজি/আইএইচ/বিআই/২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯