নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধক ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি বাগেরহাট-১ আসনের সাংসদ বঙ্গবন্ধু ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলার উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারনে তিনি সম্মেলনে অংশ নিতে পারেননি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মিরজা আজম, আবু সাঈদ সপন, এস এম কামাল, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ তরুণ সাংসদ শেখ তন্ময় প্রমুখ।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ডা. মোজাম্মেল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্জ বলেন, দেশে কোন অভাব নেই। রাস্তাঘাট সব সমনা। দেশ এখন খাদ্যে সংম্পূর্ণ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রথম অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আম্বরিশ রায়। সঞ্চালনা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু।
সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলার ৯ উপজেলা, ৭৫টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা লোকে-লোকারণ্য হয়ে যায়।
দলীয় সূত্র জানায়, এরআগে ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকুকে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়। সম্মেলনে জেলাজুড়ে বাহ্যিকভাবে সাজ সাজ রব থাকলেও দলটি’র শীর্ষ নেতৃত্বে কোন পরিবর্তন আসছে না বলে আভাস মিলেছে।
সম্মেলনকে ঘিরে দলকে সুসংগঠিত করতে গত জুলাই মাস থেকে জেলার প্রায় সাত শতাধিক ইউনিটকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেন দলের শীর্ষ নেতারা। জেলা ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বাদে ৬৮টি ইউনিট ও নয় উপজেলার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। দল পূর্নগঠনে কাজ শেষ হয় গত নভেম্বরের ২৮ তারিখে। এরমধ্যে তৃণমূলের ষাট থেকে সত্তর ভাগ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয় সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। তবে নয় উপজেলার কোন কমিটিতেই ভোট হয়নি। সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয়। যার অধিকাংশেই সাবেক কমিটি বহাল।
আইএইচ/আইএইচ/বিআই/৯ ডিসেম্বর, ২০১৯