নিউজ ডেস্ক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার (৯ নভেম্বর) মধ্য রাতের পর বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
শনিবার, ৯ নভেম্বর বা পরদিন ১০ নভেম্বর, রবিবারের মধ্যে যেকোনো সময় বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ওপর আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ জন্য দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাগরে চলাচল না করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান সম্পর্কে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭৬৯ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি আরেকটু ডানদিকে ঘুরতে পারে। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ, তাতে মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা-বরিশাল উপকূলীয় অঞ্চলের ওপরে আঘাত আনবে। কাল শনিবার মধ্যরাতে এটি আঘাত হানতে পারে।’
ঘূর্ণিঝড়টি কতটুকু শক্তিশালী হবে, এ বিষয়ে আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের ধারণা, বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৪৪ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে উপকূলে চলে আসার আগে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। বাতাসের গতিবেগ উপকূলে আঘাত হানার সময় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে।’
আবদুল মান্নান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ২২৩ কিলোমিটার। তিনি বলেন, ‘বুলবুল’–এর কারণে দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। আজ বিকেলের পর উপকূলীয় অঞ্চলে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হবে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়টি বয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে। রাজধানী ঢাকায়ও ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি থাকতে পারে।
পিআ/এসআই/বিআই/৮ নভেম্বর, ২০১৯