নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাট সদর উপজেলার একটি গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে রণি পাইক (১৯) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার মহিষপুরা বাজার এলাকা থেকে রণি নামে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
রণি পাইক বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
গত ৮ অক্টোবর হঠাৎ করে বাক প্রতিবন্ধি ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সে ৪২দিনের অন্তস্বত্ত্বা বলে চিকিৎসক নিশ্চিত হন।
এরপর ১২ অক্টোবর কিশোরীর মা বাদী হয়ে প্রতিবেশি রণি পাইকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এরপর রণি পাইক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, গত ৩০ আগষ্ট দুপুরে তার বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে পাশের গ্রামে বাবার বাড়ী বেড়াতে যান। প্রতিবেশী রণি এই সুযোগে তাদের বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওইদিন বিকেলে আমি বাড়ী ফিরে আসলে আমার মেয়ে আমাকে ইশারায় (আকার-ইঙ্গিতে) বিষয়টি জানালে প্রথমে আমি তা বুঝতে পারেনি।
এরপর মেয়েটি গত ৮ অক্টোবর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আমার মেয়ে ৪২দিনের অন্তস্বত্ত্বা বলে নিশ্চিত হন। তার মেয়ে আকারে ইঙ্গিতে বোঝানোর পর তিনি রণি নামে ওই তরুণকে সনাক্ত করতে পারেন বলে দাবি করেন। রণি বেশ কিছুদিন আমার ছোট ছেলের গৃহ শিক্ষক ছিল। রণির পরিবার মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘটনাটি আপোষ করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি রণির বিচার দাবী করেছেন।
রোববার বিকেলে র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সৈয়দ মোহাম্মদ নূরুস সালেহীন ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণের মামলা হওয়ার পর থেকে রণি পাইক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। গত কয়েকদিন ধরে তাকে ধরতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাই।
শনিবার রাতে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার মহিষপুরা বাজার এলাকা থেকে রণি নামে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করি। রোববার (৩ নভেম্বর) তাকে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসএইচ/এসআই/বিআই/৩ নভেম্বর, ২০১৯