দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বাগেরহাট আদালত পুলিশের (কোর্ট পুলিশ) পাঁচ সদস্যকে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১১০ কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি বাগেরহাটের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল মান্নান তালুকদারকে এজলাস থেকে নামানোর পর তাঁর হাতে হাতকড়া না পরিয়ে পুলিশের প্রিজন ভ্যান ছাড়া আসামির ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কারাগারে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় পুলিশের ওই পাঁচ সদস্যকে প্রত্যাহার করেন। মঙ্গলবার আদালত থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশের এই পাঁচ সদস্য হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, কনস্টেবল রঞ্জিত, আবুল হোসেন ও আবদুস সোবাহান।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, আদালতে দায়িত্বে থাকা পাঁচ পুলিশ সদস্য তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে কর্তব্যে অবহেলা করেছেন। তাই আদালতে কর্মরত ওই পুলিশের ওই পাঁচ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগেরহাট আদালতের একজন আইনজীবি বলেন, আদালত কোন আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে তখন তার সব দায়দায়িত্ব সেখানে (আদালতে) কর্মরত পুলিশের উপর। এজলাস থেকে নামার সাথে সাথে তাদের প্রথম কাজ ছিল আসামির হাতে হাতকড়া পরানো।
এরপর পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে তাকে পুলিশ প্রহরায় নিরাপদে কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। আব্দুল মান্নান তালুকদারকে হাতকড়া না পরিয়ে এবং তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ীতে করে কারাগারে পৌঁছে দিয়ে তারা আইন পরিপন্থি কাজ করেছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বাগেরহাটের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল স্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মান্নান তালুকদার দুদকের করা ১১০ কোটি টাকা পাচারের একটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর আব্দুল মান্নান আদালত থেকে নেমে বাইরে এলে তার আইনজীবী বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একে আজাদ ফিরোজ টিপুর নেতৃত্বে অন্তত ৪০ জন আইনজীবী তাকে ঘিরে নিয়ে দোতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত এগিয়ে দেন। পরে মান্নান তালুকদারের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তাকে জেলা কারাগারের ফটকে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এজি//এসআই/বিআই/১৬ জুলাই, ২০১৯