সুজন জাহাজি,বোঝালেন,
গতকাল,সকাল ন’টায়;
আগুনের তীব্র অভিলাষ,
রাগ-অনুরাগ বা বিভ্রম
ভ্রমাসক্তি,পাত্তাও পাবে না,
অগ্নিকাণ্ড যেখানে যথায়
ঘটে যাওয়া, কত স্বাভাবিক,
না-ঘটাই আশ্চর্যজনক,
এখন বিবেচ্য,কার কার;
না তোমাকে মনেও পড়ে নি:
আজ দেখি, বিস্ফোরণ,পথে
গির্জায় মন্দিরে ও মসজিদে
প্রতি উপসনালয়ে ঘাটে
বাড়ির উঠোনে বাগিচায়
লাশ নয়, খণ্ডাংশ মানব,
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে,শত শত
মাংসপিণ্ডে ধুকপুক এখনও,
শঙ্খ ঘণ্টা কিম্বা পরিত্রাহি
ধ্বণি,তীক্ষ্ণ আতঙ্কে শঙ্কায়
দীন মরণের মৃত্যুতেই,যদি
হয়তো-বা বোধের,মানবিক
পুনর্জন্ম ঘটে, কোথাও বা:
আমি ,আর আমি,হতভম্ব
স্বীয় ভালোবাসার আগুনে
দগ্ধ,বিস্ফার্ত হয়ে, ক্রমে
দেখি যে, মিলিয়ে যাচ্ছি,যাই
অন্তরালে, নি:সীম সসীমে,
ভাবি,আমি আছি,আমি নেই
এক বল্গা শ্বাস বা রণন
অনুরণনিত উষ্ণ, নানা শাত
বা শৈত প্রবাহ দিগন্তর
কিম্বা চিহ্নহীন দিগচিহ্ন,
মিনমিন স্বরে,বলছি, শুনি,
অনামি-বেনামি লণ্ডভণ্ড
ওগো লাশভাই,ভালো আছো
এমনও তো ঘটে ঘটতে পারে;
তুমি কি তখন পাশে ছিলে!
এমরফিক/এসআইএইচ/বিআই/২২ এপ্রিল ২০১৯