স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় বোমা হামলায় স্থানীয় বিএনপি নেতা খাজা মঈনুদ্দিন আখতার (৫২) নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার ভরসাপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
খাজা মঈনুদ্দিন আখতার রামপাল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজলকুড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বাড়ি রামপালের বামুনডহর গ্রামে।
ঘটনায় পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ সুপার বলেন, সন্ধ্যায় খাজা মঈনুদ্দিন আখতার ভরসাপুর বাজারের ভেতরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নজু শেখ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় একদল অজ্ঞাত সন্ত্রাসী পেছন থেকে তাঁর ওপর বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় বিএনপি নেতা খাজা মঈনুদ্দিন আখতারকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসপি পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, ঘটনার পর সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কারা কী কারণে তাঁর ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে, তা অনুসন্ধান করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
রাত সাড়ে আটটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিপন রায় বলেন, বোমা হামলার শিকার খাজা মঈনুদ্দিন আখতারকে মৃত অবস্থায় এখানে নিয়ে আসা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা ওই চিকিৎসকের।
রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, খাজা মঈনুদ্দিন আখতার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি উজলকুড় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একাধিকবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বোমা হামলায় তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। তারা দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সর্বচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
এজি//এসআই/বিআই/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯