• দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরেক ‘যুবক-ডেসটিনি’!
• সর্বস্বান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ৪ হাজার গ্রাহক
কালের কণ্ঠ, খুলনা
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান না হয়েও ‘পুঁজি’ সংগ্রহের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট (প্রা.) লি. নামের এক প্রতিষ্ঠান। উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে মাত্র ৮ বছরে ওই অর্থ তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট (প্রা.) লি. নামের প্রতিষ্ঠানটি রেজিস্টার্ড অফিস বাগেরহাটে। তবে খুলনা, পিরোজপুর, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকদের কাছ থেকে এখনো তাদের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর কালের কণ্ঠ।
নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের নামে এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বাগেরহাট কালেক্টরেট অফিস থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী (উমেদার, এমএলএসএস) হিসেবে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া এম এম এ মান্নান তালুকদার। কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সনদ নেই তাঁর। প্রকাশ্যে অবৈধভাবে বিনিয়োগ সংগ্রহের এই কর্মকাণ্ড যুবক-ডেসটিনি বা কোটচাঁদপুরের হুন্ডি কাজলের ‘কীর্তিকলাপকেও’ ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজী হাসান বলেন, ‘কোনো রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহের কোনো অনুমোদন নেই। পুঁজি সংগ্রহের নামে যদি অর্থ তুলতে হয়, তবে যেতে হবে শেয়ারবাজারে। তারা সেটাও করেনি। এটা তো রীতিমতো ভয়াবহ একটি ব্যাপার। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
প্রতারণা বুঝতে না পেরে প্রায় চার হাজার গ্রাহক এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করেছে, যারা এখন সর্বস্বান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুরপাড় এলাকার কে আলী রোডের মৃত হেমায়েত উদ্দিন তালুকদারের ছেলে মান্নান তালুকদার। পড়ালেখা করেছেন মাদরাসায়। তবে কোনো সার্টিফিকেট নেই। ১৯৮৪ সালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উমেদার পদে নিয়োগ পান। চাকরি করেন ২০১০ সাল পর্যন্ত। ২৬ বছর চাকরির পর স্বেচ্ছায় অবসর নেন। সেই সময় তিনি অবসরকালীন ভাতা সম্পর্কে কাউকে বলেছেন ওই টাকা তিনি একটি মাদরাসায় দান করেছেন। আবার কাউকে বলেছেন ওই টাকায় সুদ হয়েছে বিধায় তা সরকারি তহবিলে জমা দিয়ে এসেছেন। সেই লোকটিই এখন মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে গড়ে তুলেছেন সাবিল গ্রুপ। তবে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের নামেই চলছে আমানত সংগ্রহ। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সাইনবোর্ড এবং কাগজপত্রে লেখা রয়েছে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত। রেজি নং-সি ৮৯১১৪/২০১০।
প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে জানার জন্য দিনের পর দিন খুলনা অফিসে গিয়ে ব্যর্থ হতে হয়। পরে রিয়েল এস্টেট লি.-এর সদস্য হব এবং ৫০ লাখ টাকা জমা রাখব বলায় কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেন। খুলনার বয়রায় অবস্থিত অফিসের ব্যবস্থাপক পদে রয়েছেন যশোরের চৌগাছার বাসিন্দা মো. মহিবুল্লাহ বুলবুল। টাকা কিভাবে এবং কখন জমা দেব সেই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি উৎসাহী হয়ে ওঠেন। টাকা পরে জমা দেওয়া হবে, এখন খোঁজখবর নিতে চাই বললে তিনি জানান, তাঁদের প্রায় ৪০ হাজার সাধারণ শেয়ারহোল্ডার রয়েছে। এদের কেউ এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছে।
সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হতে যে ফরম মহিবুল্লাহ দেখান তা অনেকটা ব্যাংকের হিসাব খোলার আবেদন ফরমের মতো। শর্তাবলিতে লেখা, সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হতে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে; আবেদনকারীকে এক শ টাকা পরিশোধ করে নির্দিষ্ট ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এক বছর মেয়াদ পূর্তির আগে কোনো বিনিয়োগ তোলা যাবে না। এক বছর পর আমানত তুললে নানা ধরনের মুনাফা। এক বছর বিনিয়োগের পর তুললে ১০০ টাকায় ৩০ টাকা লভ্যাংশ, দুই বছর পর তুললে ১০০ টাকায় ৩৫ টাকা লভ্যাংশ; তিন বছর পর ৪০ টাকা লভ্যাংশ; চার বছর পর লভ্যাংশ ৫০ শতাংশ এবং কম্পানি তখন বোনাস দেবে আরো ৫০ শতাংশ অর্থাৎ চার বছরে এক শ টাকায় আরো এক শ টাকা মুনাফা অর্থাৎ মূল টাকা দ্বিগুণ হবে। কেউ দশ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে চার বছর পর পাবে বিশ লাখ টাকা। আর এক লাখ টাকা জামানত রাখলে মাসে লভ্যাংশ দেওয়া হবে দুই হাজার ৪০০ এবং বছরে ২৮ হাজার ৯০০ টাকা।
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক যখন আমানতের ওপর সুদ কমাচ্ছে, সেখানে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট চড়া সুদের লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতা বোঝাতে ওই শাখার ম্যানেজার মহিবুল্লাহ খুলনার একাধিক ধনাঢ্য ব্যক্তির বিনিয়োগের দলিল দেখান। সেগুলো নোটারি পাবলিকের কার্যালয় থেকে এফিডেভিট করা। ওই দলিলগুলোর মধ্যে একটিতে এক ব্যক্তির ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগের তথ্যও পাওয়া গেছে। মহিবুল্লাহ এই টাকা জমা দেওয়া বা লেনদেন করার জন্য ব্যাংকের মতো পাস বইও দেখান। যাতে বছরের মাসওয়ারি লাভ-লোকসানের হিসাব দেখানো হয়।
পরে সাংবাদিক পরিচয় দিলে মহিবুল্লাহ ইতস্তত করে জানান, তাঁদের কাছে গচ্ছিত আমানতের পরিমাণ বর্তমানে দুই হাজার কোটি টাকা; জমি ক্রয় করা আছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার। আমানত সংগ্রহের জন্য খুলনা শহরে ৮০ থেকে ৯০ জন মাঠকর্মী রয়েছেন। এসব মাঠকর্মী কেউ বেতনভুক্ত নন, আমানত সংগ্রহের ওপর তারা ৫ শতাংশ কমিশন পেয়ে থাকেন।
এদিকে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহের জোয়ারে খুলনা অঞ্চলের অনেক ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনায় সমস্যায় পড়েছে। বেশি লাভ পাওয়ার আশায় অনেক গ্রাহক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে ছুটছেন মান্নান তালুকদারের প্রতিষ্ঠানে। বাগেরহাট জেলার সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজারদের অভিযোগ, বাগেরহাটের কোনো ব্যাংকই আমানত সংগ্রহ করতে পারছে না। কারণ, বেশি টাকা পাওয়ার আশায় সবাই নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটে টাকা জমা রাখছে। রূপালী ব্যাংক খুলনা জোনের জেনারেল ম্যানেজার অশোক কুমার সিংহ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে মানিলন্ডারিং ট্যাস্ক ফোর্সের বৈঠকে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের আমানত সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।’
খুলনার একটি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁর ব্যাংকে একজন অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষকের ২৫ লাখ টাকার এফডিআর ছিল। এই গ্রাহক সেই টাকা তুলে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটে জমা দেওয়ার উদ্যোগ নিলে তিনি বাধা দেন। এতে নিউ বসুন্ধরা গ্রুপের কয়েকজন মাঠকর্মী এসে তাঁকে শাসিয়ে যায়। পরে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সেই এফডিআরের টাকা উঠিয়ে নিউ বসুন্ধরায় জমা রাখেন। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তিনি টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। ইতিমধ্যে সেই শিক্ষক মারা গেছেন। বর্তমানে তাঁর উত্তরাধিকারীরা টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একই ধরনের অভিযোগ করেন সোনালী ব্যাংক খুলনার জোনাল জেনারেল ম্যানেজার আমির হোসেন মিয়া ও জনতা ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মুরশেদুল কবীর।
বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার নির্বাহী পরিচালক মো. ইস্কান্দার মিয়া স্বীকার করেন, সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে তাঁদের টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন যুবক, ডেসটিনি, কোটচাঁদপুরের হুন্ডি কাজলের মতো বাগেরহাটের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট একই পদ্ধতিতে অবৈধভাবে আমানত সংগ্রহ করছে। ব্যাংকিং অনুমতি না থাকায় এই আমানত সংগ্রহ বেআইনি।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির অন্য দুই পরিচালক মান্নানের পরিবারের সদস্য এবং চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের শেয়ার মাত্র ৫ শতাংশ। বাগেরহাটের মিঠাপুকুরপাড় প্রি-ক্যাডেট মাদরাসা লাগোয়া তিনতলা ভবনে মান্নান তালুকদারের অফিস ও বাসভবন। বেশ সুরক্ষিত। তিনি এই প্রতিবেদকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি। পরে তাঁর এক পরিচিতজনের মাধ্যমে ফোনে কথা হয়। মান্নানের দাবি, পদ্মার এপারে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেছেন। ডিসি অফিসে চাকরির সময় থেকেই তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমি কেনাবেচা করতেন। এতে যে লাভ হতো তা তিনি টাকাদাতাদের মাঝে বণ্টন করে দিতেন। এতেই মানুষ তাঁর প্রতি আস্থাবান হয়ে ওঠে। মান্নান তালুকদার আরো বলেন, সাধারণ মানুষের যে পরিমাণ আমানত তাঁর কাছে আছে, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সম্পদ তাঁর রয়েছে। আমানত সংগ্রহ ও পরিচালনায় একটি শরিয়াহ বোর্ড রয়েছে। এর প্রধান খুলনার গোয়ালখালী মাদরাসার মুহতামিম খলিফা আব্দুল আউয়াল, মুফতি ওয়াক্কাস আলীসহ আলেমরা। তিনি দাবি করেন, খুলনা-বাগেরহাট মিলিয়ে তাঁর যে পরিমাণ জমি আছে তার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি হবে।
আব্দুল মান্নান তালুকদারের অফিসকক্ষে প্রায় এক শ’ সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। আছে গোটা দশেক কম্পিউটার। তাতে চোখ রেখে তিনি বাগেরহাটে বসেই খুলনা, নড়াইল, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা ও যশোর অফিসের কার্যক্রম মনিটরিং করেন। তিনি অ্যাপেল ল্যাপটপ ব্যবহার করে হিসাব রাখেন তাঁর ব্যবসা ও সম্পদের। আটটি গাড়ির পাশাপাশি হেলিকপ্টারে চড়েও তাঁকে নিজের ‘ব্যবসা’ তদারকি করতে দেখা গেছে।
ভিজিটিং কার্ডে মান্নান নিজেকে সাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উল্লেখ করেন। করপোরেট অফিস ঢাকার দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, বিসিআইসি ভবনের ১৬ তলায়। রেজিস্টার্ড অফিস খুলনার বয়রায়; আর প্রধান কার্যালয় বাগেরহাটের মিঠাপুকুরে। শাখা অফিস আছে সাতক্ষীরা, নড়াইল, পিরোজপুর ও যশোরে। ভিজিটিং কার্ডে অ্যাজাক্স জুট মিলস, সাবিল পেপার মিলস, সাবিল লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লি., সাবিল অটোমেটিক ব্রিকস লি., বাগেরহাট ট্রেডিং লি., জাকারিয়া এন্টারপ্রাইজ ও নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড—মোট সাতটি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাজাক্স জুট মিল চালু হয়নি, সাবিল পেপার মিল এবং লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ প্রস্তাবিত; আর সাবিল আটোমেটিক ব্রিকস প্রস্তুতির কার্যক্রম চলছে। দুই প্রতিষ্ঠান বাগেরহাট ট্রেডিং এবং জাকারিয়া এন্টারপ্রাইজের দৃশ্যমান কোনো অস্তিত্ব নেই। কাগজে-কলমে এখনো অ্যাজাক্স জুট মিলের চেয়ারম্যান কাওসার জামান বাবলা। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মিলটি বিক্রির কথা হয়েছিল; তবে আব্দুল মান্নান তালুকদারের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়নি। তাঁর কাছে এমন কোনো প্রমাণাদি নেই। তিনি ২০ কোটি টাকার চেক দিয়েছিলেন, যা ক্যাশ হয়নি। ফলে রংপুরে মান্নান তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। কাওসার জামান বাবলা আরো বলেন, ‘তিনি টাকা পরিশোধ করেননি, মিলের অন্য কোনো শেয়ারহোল্ডারদেরও টাকা পরিশোধ না করেই তিনি মিলের মালিকানা দাবি করছেন।’
মান্নান তালুকদারকে একজন প্রতারক দাবি করেন কাওসার জামান বাবলা। অ্যাজাক্স জুট মিলের আরো দুই অংশীদার হলেন এমদাদুল হক বুলবুল ও মাহবুব হোসেন (জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ, বিএনপির সাবেক নেতা শেখ আশরাফ হোসেনের ভাই)। মিলটির সোনালী ব্যাংক ঢাকা বৈদেশিক বাণিজ্য শাখায় ৮০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।
মান্নান তালুকদারের প্রস্তাবিত বা প্রক্রিয়াধীন প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে : সাবিল টুইন টাওয়ার, সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি., তিনতলা মার্কেটসহ বহুতল ভবন, সাবিল জেনারেল হাসপাতাল, সাবিল বৃদ্ধাশ্রম, সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, সাবিল ডিজিটাল প্রিন্টার্স প্রকল্প। এগুলোর প্রকল্প নকশা প্রণয়ন করে প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে।
কেকে//এসআই/বিআই/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮