স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাগেরহাট আদালতের সরকারি ভিপি কৌঁশলী সরদার ইলিয়াস হোসেনের (৫৮) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বাগেরহাট মডেল থানায় দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুর রহমান দাবী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাগেরহাট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অর্পিত সম্পত্তি বা ভিপি কৌঁশলী হিসেবে নিয়োজিত আইনজীবী সরদার ইলিয়াস বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ওই ইউনিয়নের শ্রীঘাট এলাকার আহম্মেদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি বাগেরহাট শহরের থাকেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা মামলাটি নথিভূক্ত করেছি। তবে মামলার বিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার নথীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০১৭ সালে ৬ জুলাই দুদকের তৎকালীন সহকারি পরিচালক মো. মাহতাব উদ্দিন বাগেরহাট জেলা জজ কোর্টের সরকারি ভিপি কৌশলী সরদার ইলিয়াসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বিষয়টি জানানো হয়। এর পেক্ষিতে সরদার ইলয়াসকে তার সকল সম্পদের বিবরণ দাখিল করতে বলে দুদক।
দাখিলকৃত ওই সম্পদ বিবরণির তথ্য যাচাই বাছাই করে দুদক ২৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৯২০ টাকা ৬২ পয়সা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ও ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৭২০ টাকা ৬২ পয়সা সম্পদ গোপন করার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয় হতে চলতি বছরের ১৮ জুলাই আইনজীবী সরদার ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়।
আমিনুর রহমান বলেন, দুদকের নির্দেশনা অনুয়ায়ী তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন। আইন অনুয়ায়ী, দুদকই এই মামলার তদন্ত করবে এবং আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবে।
মামলার বিষয়ে জানতে আইনজীবি সরদার ইলিয়াস হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের ওই অভিযোগে অসত্য বলে দাবি করেন। বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানিনা। তবে জেলা আইনজীবী সমিতির (বার) একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেছে।
‘শহরে একখণ্ড জমি কিনে তাতে বাড়ি করে বসবাস করছি। বর্তমান বারের এক প্রভাবশালী নেতা ওই জমির ভাগ নিতে চেয়েছিল। তারা আমাকে হয়রানি করেতে একটি মামলা দেয়; দুদকেও অভিযোগ দিয়েছিল। এসব তাদের ষড়যন্ত্র। আমার কোন অবৈধ সম্পদ নেই। আমার বিশ্বাস আদালতে তা প্রমাণ হবে।’
এইচ//এসআই/বিআই/২০ আগস্ট ২০১৮