স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের কচুয়ার ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরো পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ভোরে ভ্যানযোগে বাড়ি ফেরার পথে সাইনবোর্ড-কচুয়া সড়কের রাঢ়িপাড়া কাটা বটতলা এলাকায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাজরা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুর (৩২)। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথম কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে ঘটনার তিনদিন পার হলেও ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। এরআগে মঙ্গলবার রাতে হামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এই নিয়ে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন সাত ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
ছাত্রলীগ নেতার উপর ওই হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর কচুয়া বাজার ও স্থানীয় সড়কগুলোতে ধর্মঘট পালন করে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে গত বুধ এবং বৃহস্পতিবারও নেতাকর্মীরা বিক্ষভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
আটক পাঁচজন হলেন- কচুয়া উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের মো. আমজাদ শেখের ছেলে আব্দুল্লাহ শেখ (২৫), বয়াশিংগা গ্রামের মো. আজাহার সরদারের ছেলে কামরুল ইসলাম সরদার (৩৫), বক্তারকাঠি গ্রামের আব্দুল কাদের শিকদারের ছেলে মো. লাহার শিকদার (৪২), সোনাকান্দর গ্রামের প্রয়াত ফখরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে কাজী জাদ্দেল শিকদার (৫৫), গজালিয়া গ্রামের প্রয়াত রমজান আলী শেখের ছেলে মো. আলাউদ্দিন শেখ (৫৫)।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল কবির বলেন, ইশতিয়াক হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কচুয়া উপজেলায়। ওই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিন দিনেও মামলা না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আহত ছাত্রলীগ নেতা চিকিৎসার জন্যও খুলনা থাকায় এখনও মামলা হয়নি। আমরা তার সাথে যোগাযোগ রাখছি। তিনি একটু সুস্থ হয়ে ফিরলে মামলা দায়ের হবে। তবে মামলা না হলেও পুলিশ হামলার কারণ জনতে এবং জড়িতদের আটকে কাজ করে যাচ্ছে।
এজি//এসআই/বিআই/১২ জুলাই ২০১৮
** হামলার দু’দিনেও মামলা হয়নি
** ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম