স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোংলায় টর্নেডোর আঘাতে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে গেছে কয়েক শ’ গাছপালা।
সোমবার (১৮ জুন) বিকেলে কয়েক মিনিটের ঝড়-বাতাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পশুর নদ তীরবর্তি মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকা। এসময় নদে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন এক জেলে।
একদিন পর মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিকেলে পশুর নদ থেকে ওই জেলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই জেলের নাম শফিকুল ইসলাম (৩৫)। তিনি জয়মনির ঘোল এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
সোমবার বিকেল তিনটা ২০ মিনিটের দিকে টর্নেডো আঘাত হানার সময় শফিকুল ইসলাম নামের ওই জেলে পশুর নদে মাছ ধরছিলেন। হটাৎ প্রচণ্ড বাতাসের নদে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাট কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার বলেন, নিখোঁজ ওই জেলেকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গতকাল চেষ্টা চালায়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্ঘটনা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদের সুন্দরতলা এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় শফিকুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
টর্নেডোর আঘাতে সোমবার চিলা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় জয়মনি, জয়মনির ঘোল, চরেরখাল এবং কাটাখালী গ্রাম। এসব গ্রামের দুই শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়।
ঝড়ের সময় আহত হন দুলাল (৩৫) ও মাসুদ (২৫) নামে দুজন।
মোংলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, সোমবার আকষ্মিক টর্নেডোর আঘাতে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে দেড়শতাধিক ঘরবাড়ি। কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায় ও বিদ্যুতের খুটি হেলে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে বুধবার চাল, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রদান করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে আছেন। তালিকা অনুয়ায়ী দুই একদিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা দেওয়া হবে।
এইচ/এসআই/বিআই/১৯ জুন, ২০১৮