স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও সদর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে নারীসহ দুজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।
মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিকেলে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের কুমারীয়ারজোলা ও বাগেরহাট সদর উপজেলার কাপালী বন্দর এলাকায় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- বিকাশ চন্দ্র মৃধা (৫০) ও শম্পা রাণী মন্ডল (২৫)। দিনমজুর বিকাশ কুমারীয়ারজোলা গ্রামের রমেন্দ্রনাথ মৃধার ছেলে। শম্পা কাপালী বন্দর গ্রামের বিষ্ণুপদ মন্ডলের স্ত্রী।
বজ্রপাতে আহত সুভাস তালুকদারকে (৪৮) বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মশিউর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, কুমারীয়ারজোলা গ্রামের সুভাস তালুকদার তার মাছের ঘেরে মাটি কাটার জন্য বিকাশ মৃধাকে শ্রমিক হিসেবে নিয়ে আসেন। তারা ঘেরে মাটি কাটার সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হন বিকাশ ও সুভাস।
‘সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে হাসপাতালে আনার আগেই বিকাশকে মৃত্যু হয়। অসুস্থ্য সুভাসকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি শঙ্কামুক্ত।’
একই সময় বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নে বজ্রপাতে মারা যান শম্পা রানী মণ্ডল।
বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বৃষ্টির মধ্যে গৃহবধূ শম্পা মন্ডল বাড়ির পাশে মাঠে বেঁধে রাখা গরু আনতে যান। প্রায় আধা ঘন্টা পার হলেও তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে মাঠে যায়।
‘তারা শম্পাকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।’
এজি/এসআই/বিআই/১৯ জুন, ২০১৮