স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ৫ জনকে আটক করেছে বন বিভাগের স্মার্ট প্যাট্রলিং দল।
শনিবার রাতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের শ্যালার চর টহল ফাড়ির মানিকখালী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২০০টি হরিণ শিকারের ফাঁদ ও আল মদিনা নামের একটি লবন পানি বহনকারী নৌযান জব্দ করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইনে মামলা দায়েরের পর রোববার (১৩ মে) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, খুলনার দাকোপ থানার আমতলা গ্রামের মৃত প্রভাষ মৃধার ছেলে বিশ্বজিত মৃধা (৪২), পটুয়াখালীর বাউফল থানার দাস পাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আল আমিন খান (২৩), একই জেলার চরকাজল এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে হাসান (২২), ছোটচর কুসুম এলাকার জয়নাল আবেদীন খোন্দকার (২৮) ও সাতক্ষিরা জেলার আশাশুনি থানার নওয়াপাড়া গ্রামের সাঈদ সরদারের ছেলে রনী সরদার (১৮)।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, গত ১০ মে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের নলীয়ান ফরেস্ট স্টেশনের সুতার খালী অফিস থেকে হ্যাচারীর জন্য লবন পানি আনতে তিন দিনের অনুমতি নিয়ে একটি কার্গোসহ ৯ জন সুন্দরবনে ঢোকে। শনিবার টহলের সময় স্মার্ট প্যাট্টলিং দল ওই নৌযানটিতে তল্লাশি করে হরিণ শিকারের ফাঁদসহ তাদের আটক করে। আটকদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইনে সুন্দরবনের শ্যলার চর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বন আইনে একটি মামলা করেছেন।
সুন্দরবন থেকে নেওয়া অনুমতি পত্রে ৯ জনের নাম থাকলেও কার্গোতে থাকা ৫জন আটক হয় বন বিভাগের কাছে। বাকি চারজন কী সুন্দরবনেই অবস্থান করছে বা পালিয়ে গেছে কী না সে বিষয়টি কিছু জানাতে পারেন নি তিনি।
এইচ//এসআই/বিআই/১৩ মে ২০১৮