স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় এক কৃষক নেতাকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।
শনিবার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের সম্মানকাঠি গ্রামের কেজি স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহীন শেখ (২২) মঘিয়া ইউনিয়নের সহবতকাঠি গ্রামের আব্দুল গফফার শেখের ছেলে। তিনি কচুয়া উপজেলা তরমুজ চাষি সমিতির সভাপতি ছিলেন।
নিহতের চাচা আব্দুল হালিম শেখ বলেন, শাহীন শেখ রাত ৮টার দিকে স্থানীয় বড় আন্ধারমানিক গ্রামের পঙ্গু মার্কেটে কাজ সেরে তার জমির দিনমজুর সাখাওয়াতকে সঙ্গে নিয়ে ভ্যানরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন।
‘পথে সম্মানকাঠি গ্রামের কেজি স্কুলের সামনে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ওই ভ্যানের গতিরোধ করে শাহীনকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করলে ভ্যানচালক ফিরোজ ও তার সঙ্গে থাকা দিনমজুর সাখাওয়াত দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
হালিম জানান, হামলাকারীরা শাহীনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
‘সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শাহিনকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
হালিম জানান, শাহীন নিজের ৯ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। তিনি তরমুজ চাষি সমিতির সভাপতি ছিলেন।
সভাপতি হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। সেই বিারোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড কিনা তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুশফিকার শামস্ মেনন বলেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে শাহীন শেখকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। শাহীনের দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপেরও চিহ্ন রয়েছে।
‘অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
কচুয়া থানার ওসি রবিউল কবির বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রোববার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।
শাহীন শেখকে কারা কী কারণে কুপিয়ে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এইচ//এসআই/বিআই/০১ এপ্রিল ২০১৮