স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের শরণখোলায় আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ মার্চ) ভোরে শরণখোলা উপজেলার বকুলতলা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে শুক্রবার রাতে নিহত কমলা বেগম ওরফে নূরীর (২০) মামা মো. শাহ্ আলম হাওলাদার বাদি হয়ে থানায় নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নিহতের স্বামী উপজেলার বকুলতলা গ্রামের ইলিয়াস হাওলাদার, শ্বশুর মোতালেব হাওলাদার, শাশুড়ি তাসলিমা বেগম ও ননদ মাহমুদা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
নিহতের শাশুড়ি তাসলিমা ও ননদ মাহমুদাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গত ৩ মার্চ শ্বশুর বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন গৃহবধূ কমলা বেগম। এর ছয় দিন পর গেল শুক্রবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে শুক্রবার রাতে নিহতের মামা বাদি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এরপরই অভিযান চালিয়ে এজাহার নামিয় দুই আসমীকে গ্রেপ্তার করেছে।
অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যুর পর স্বামী ও শ্বশুর পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
ওসি বলেন, মামলার আভিযোগে বলা হয়েছে, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে কমলার উপর নির্যাতন করতো স্বামী-শাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। সবশেষ গত ৩ মার্চ সকালে তারা কমলার শরীরে কেরসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ধানসাগর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের প্রয়াত মোক্তার খলিফার মেয়ে কমলা চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার ভাই মো. আল-আমিন খলিফা মুঠফোনে বলেন, চট্টগ্রামে আমর বোন যেখানে থাকতো ওই এলাকার একটি হোটেলে কাজ করতো ইলিয়াস। আগে একটি বিয়ে থাকার কথা গোপন করে সে আমার বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে নিজেরা বিয়ে করে এবং বছর খানেক আগে চট্টগ্রাম ছেড়ে বাড়িতে গিয়ে বসবাস শুরু করে।
আরমান নামে তাদের তিন মাসের একটি শিশু সন্তান আছে।
এইচ//এসআই/বিআই/১০ মার্চ, ২০১৮
** অগ্নিদগ্ধ সেই গৃহমধূর মৃত্যু
** গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা