স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন-সুবিধা সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়ার একদফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
দবি আদায়ে আগামী ১০ মার্চ থেকে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। কর্মসূচির কারণে আগামী শনিবার (১০ মার্চ) থেকে সারাদেশের সকল পৌরসভায় নাগরিক সেবা প্রদানে জটিলতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পৌরসভার সব কর্মীই ওই কর্মসূচিতে যোগ দিবে। এতে বাগেরহাটসহ সারাদেশের সকল পৌর এলাকাগুলোতে পানি সরবরাহ, সড়কবাতি প্রজ্বলন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ প্রদানসহ সকল ধরণের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (৬ মার্চ) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এ কথা জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অ্যাসোসিয়েশনের বাগেরহাট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামসেদ আলী। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ অনুযায়ী পৌরসভা একটি প্রশাসনিক অংশ (Administrative Unit)। সেই হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের অধীন এলজিইডি, ওয়াসা, সমবায় অধিদপ্তর, উপজেলার মতো পৌর কর্মকর্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সকারের রাজস্ব তহবিল থেকে দেবার কথা। কিন্তু জনসেবার মূল দায়িত্ব পালনকারী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পৌরসভার কর্মীদের বেতন-ভাতা ও গ্রাচ্যুয়িটি প্রদান করা হয় পৌরসভার রাজস্ব তহবিল হতে।
‘ফলে বেশিরভাগ পৌরসভার কর্মীদের বেতন ভাতাদি অনিয়মিত। কোন কোন পৌরসভায় ২ থেকে ৫৮ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া ও বহু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসর পরবর্তী আনুতোষিক থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’
দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন করে আসলেও সরকার তাতে কর্নপাত না করায় বৈষম্যের শিকার সারাদেশের পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধ্য হয়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এতে পৌর কর্তৃপক্ষ যাদি কোন কঠিন অবস্থানও নেয় আমরা কর্মসূচি থেকে পিছ পা না হব না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও অ্যাসোসিয়েনের খুলনা বিভাগের সভাপতি রঞ্জন কান্তি গুহ, জেলা শাখার সভাপতি অজিত কুমার হালদার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
দাবি আদায়ে এরআগে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান, অবস্থান ধর্মঘটের মত কর্মসূচি পালন করেছেন পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তাঁরা বলছেন, বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা রাজস্ব খাত থেকে দেওয়া হলে পৌরবাসীর নারিক সেবা বাড়বে। করণ এখন পৌরগুলোর আয়ের বড় অংশই কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে ব্যয় হয়ে যায়। এই অর্থ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যয় হলে সেবার মান বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, পৌরসভার নাগরিক সেবা বন্ধ করে আমরা এমন কঠোর কর্মসূচি দিতে চাইনি। কিন্তু কিছু লোকের হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
এইচ//এসআই/বিআই/০৬ মার্চ, ২০১৮