স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে অনেক সড়ক। ফলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ। তবে বছরের এই সময়ের বৃষ্টি মাঠের আমন ধানের জন্য উপকারী বলছে কৃষি বিভাগ।
নিম্নচাপের কারণে মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নাম্বার স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সাভাবিক রয়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
সোমবার ভোর রাত থেকে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ায় শহরের রাহাতে মোড়, লোকাল বোর্ডঘাট, মেইনরোড, বাসাবাটি, রেলরোড, ডাকবাংলো, আলীয়া মাদ্রাসারোড, খারদ্বার, মিঠাপুকুরপাড়, সাহাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়।
বৃষ্টির পানি জমে প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাটের নয় উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
বাসাবাটি এলাকার রিক্সাচালক আয়নাল শেখ বলেন, যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে ঘর থেকে বের হওয়াই দায়। কিন্তু কি করব পেটের দায়ে বৃষ্টিতে ভিজে রিক্সা চালাচ্ছি।
শহরের চারু ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী অমিত বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টির কারণে কোন ক্রেতার দেখা নেই। অনেকের ঘরে পানি উঠে গেছে, আবার পানিতে তলিয়ে যাবার উপক্রম। তাই দুশ্চিন্তায় আছি।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত হারবার মাষ্টার গোলাম সরোয়ার বলেন, বন্দরে তিন নম্বর সংকেত চলছে। বন্দরে বর্তমানে সার, চাল, কন্টেইনার, এলপিজিসহ মোট ১১টি জাহাজ অবস্থান করছে। বৃষ্টির মধ্যে এসব জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (পিপি) দীপক কুমার রায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সারাদেশেই এবার বৃষ্টিপাত বেশি। গেল কয়েক বছরের মধ্যে এখন পর্যন্ত এ বছরই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি পাত হয়েছে। ২০১৬ সালে যেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ১ হাজার ৫৪২ মিলিমিটার সেখানে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমান ২ হাজার ২৬৭ মিলিমিটার।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. আবতাব উদ্দিন বলেন, গত ৪৮ ঘন্টায় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে নষ্ট হওয়ার মত কোন ফসল এখন মাঠে নেই। বরং এই বৃষ্টিতে রোপা আমনের মাঠের উপকার হচ্ছে।
এজি//এসআই/বিআই/০৯ অক্টোবর, ২০১৭