বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, দু`গ্রুপের সংঘর্ষ: আহত ৩০
ইনফো ডেস্ক
2 April 2013
খবর, চিতলমারী
57 পঠিত
বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিদ্যালয়ের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু`গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান পান্না ও বড় বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খসরু আহম্মেদ গ্রুপের মধ্যে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। উভয় গ্রুপের আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বড়বাড়িয়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খসরু আহম্মেদ কমিটির আনুমোদন ছাড়াই বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা বিদ্যালয়ে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া তিনি বড়বাড়িয়া হাটখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ টি গাছ কেটেও বিক্রি করেন। এলাকাবাসীর পক্ষে বড়বাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহীম শেখ গত ২৮ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় দু’টি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, চিতলমারী উপজেলার বড় বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খসরু আহম্মেদ বিদ্যালয়ে গাছ কেটে নেয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে ইব্রাহীম জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বরাবর অভিযোগ দেয়।
এ ঘটনার সূত্রধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পান্না ও খসরু গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের সূত্রপাত ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে ওসি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুলু বিলকিস বানু জানান, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাত সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পৃথকভাবে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে যে খসরু আহম্মেদ বিরুদ্ধে (বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি) তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের আনুমোদন নিয়ে বিধি মোতাবেক অত্যান্ত স্বচ্ছতার সাথে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। কোন টাকা আত্মসাত করা হয়নি। এলাকার একটি মহল তার সুনাম ক্ষুন্ন করতে এ কুৎসা রটাচ্ছে।