স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৩নং পুটিখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ্ চান মিয়া শামীমের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন তাঁর পরিষদের ১১ জন ইউপি সদস্য।
সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ, দুর্নিতি, স্বজনপ্রীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত ভাবে তাঁরা এ অনাস্থা প্রকাশ করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ চান মিয়া শামীম পুটিখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
লিখিত ওই অনাস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান শাহ্চান মিয়া শামীম ইউনিয়ন পরিষদের কাজে ওয়ার্ড সদস্যদের সাথে কোন সমন্বয় করেন না। বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের জন্য সরকারি সহায়তা ভাতা ভোগিদের কাছ থেকে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখা, কাবিটাসহ সরকারের উন্নয়নমূলক বরাদ্দের চাল, গম ও টাকা নামে-বেনামে আত্মসাৎ করেন।
গেল ঈদুল ফিতরে হতদরিদ্রদের মাঝে বরাদ্দের জন্য দেওয়া ১০ টন গম ও মৎস্যজীবীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১ টল চাল ওই চেয়ারম্যান ভুয়া মাষ্টাররোলের মাধ্যমে আত্মসৎ করেছেন। তিনি অর্থের বিনিময়ে ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারেশ সনদ, জন্মনিবন্ধন ও নাবালিকাকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে সনদ দেন বলে অনাস্থা পত্রে অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত অনাস্থায় স্বাক্ষর করেছেন, শহিদুল ইসলাম মল্লিক, ইউপি সদস্য মো. দুলাল শেখ, রফিকুল ইসলাম খান, বাচ্চু শেখ, ইউসুফ কাজী, মহসীন খান, মো. হারুন অর রশিদ, মান্নান হাওলাদার মিন্টু, সংরক্ষিত নারী সদস্য দুলালী বেগম, সাবরীন জাহান ও সেলিনা বেগম।
পুটিখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্চান মিয়া শামীম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্য-বানোয়াট। আমি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান। এখানে দলীও কোন্দল আছে। এই কোন্দলে জের হিসেবে এইটা করা হইছে।’
ইউএনও মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, পুুটিখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগসহ একটি অনাস্থা প্রস্থাব পেয়েছি। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থাপনা আইন অনুয়ায়ী পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এজি//এসআই/বিআই/২৩ জুলাই, ২০১৭