স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় ফারজানা আক্তার (১২) নামে সাপে কাটা এক মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়নের আড়িয়ামর্দন গ্রামে শিশুটিকে সাপে কাটে। বাগেরহাটের দুটি হাসপাতাল ঘুরে সাপে কাটা রোগী চিকিৎসার ওষুধ অ্যান্টিভেনম না পেয়ে খুলনা মেডিকেলে নেওয়ার ওই শিশুটির মৃত্যু হয়।
ফারজানা আক্তার উপজেলার আড়িয়ামর্দন গ্রামের নিয়ামুল হোসেন শেখের মেয়ে এবং স্থানীয় কচুয়া দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
নিয়ামুল শেখের অভিযোগ, হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় চিকিৎসার অভাবে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
ফারজানার মেঝ চাচা শরিফুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে সাড়ে ৯টার দিকে ফারজানা তার ছোট ভাই ও দাদির সাথে ঘুমাতে যায়। এর ১০মিনিট পরে ফারজানা সাপ সাপ বলে চিৎকার করে ওঠে।
‘তখন আমরা ছুটে গিয়ে দেখি তার ডান পায়ের গোড়ালির সামন্য উপরে সাপে কামড়ের ক্ষত। সাথে সাথে কাপড় দিয়ে পা বেঁধে আমরা তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। তখন ওই ক্ষত স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছিলো।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে গেলে চিকিৎসকরা বলেন, আমাদের এখানে সাপে কাটা রোগীর ভ্যাকসিন নেই। পরে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেও ভ্যাকসিন না থাকায় হাসপাতাল কর্তিপক্ষ ফারজানাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। খুলনা নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার দাস বলেন, সাপে কাটা রোগীর বিষ ক্ষয়ে ব্যবহৃত ভ্যাকসিন—অ্যান্টিভেনম কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। তাই এখানে আমরা শিশুটির চিকিৎসা দিতে পারিনি।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অরুণ চন্দ্র মন্ডল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সাপে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসার ওষুধ (অ্যান্টিভেনাম) না থাকায় ফারাজানা নামের শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাটের কোন হাসপাতালেই ভ্যাকসিন নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভ্যাকসিনের জন্য বারবার চিঠি দিলেও তারা তা দিচ্ছে না বলে সিভিল সার্জনের।
এইচ//এসআই/বিআই/১৫ জুলাই, ২০১৭