স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে স্ত্রী ও এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার দায়ে আবুল কালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
১৬ বছর আগের একটি হত্যা মামলায় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-দুই এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন রোববার (৪ জুন) দুপুরে এ রায় দেন।
দণ্ডিত আবুল কালাম (৫০) মোরেলগঞ্জ উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের আব্দুল জব্বার হাওলাদারের ছেলে। ২০১৬ সালে জামিনে যাওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
মামলার নথিতে বলা হয়, গুলিশাখালী গ্রামের আবুল বাশার হাওলাদারের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র মশিউর রহমান একই এলাকার আবুল কালামের বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করত।
২০০১ সালের ৪ অক্টোবর রাতে আবুল কালাম তার স্ত্রী সুলতানা ইয়াসমিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময়ে ঘরে থাকা মশিউর তা দেখে ফেলে এবং সুলতানাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আবুল কালাম দা দিয়ে তার মাথা ও ঘাড়ে কোপ দেন।
এতে ঘটনাস্থলেই কালামের স্ত্রী সুলতানা ইয়াসমিন (২৫) এবং ওই বাড়িতে থেকে স্থানীয় গুলিশাখালী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়া ছাত্র মশিউর রহমান (১২) মারা যান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাগেরহাটের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শরৎচন্দ্র মজুমদার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ঘটনার পর রাতেই আবুল কালাম তার শিশু কন্যাকে (৩) নিয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় চলে যান এবং অভিযোগ করেন বাবা ও ভাইয়েরা মিলে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।
ঘটনাস্থলে গিলে দুই জনের লাশ উদ্ধারকালে পুলিশকে আবুল কালামের শিশু সন্তান জানায় তার বাবা তাদের হত্যা করেছে। পরে পুলিশ তাকে আটক করলে কালামের স্বীকারক্তি অনুয়ায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো দা’টিও উদ্ধার হয়।
এপিপি বলেন, জোড়া হত্যার ওই ঘটনায় ৭ অক্টোবর মশিউরের বাবা আবুল বাশার বাদি হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর আবুল কালামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শরৎচন্দ্র মজুমদার বলেন, মূলত বাবা ও ভাইদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় তাদের ফাঁসাতে স্ত্রীকে হত্যা করে আবুল কালাম। মামলার দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে বিচারক ১৩ জন্যের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এইচ//এসআই/বিআই/৪ জুন, ২০১৭