স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মংলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রতিবেশীর হাতে এক পূজারী (ব্রাক্ষ্মণ) লাঞ্ছিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় মংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে নীহার রঞ্জন চক্রবর্ত্তী (৬২) নামে ওই পূজারী আহত হন।
নীহার রঞ্জনের বাড়ি উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা গ্রামে। তিনি স্থানীয়ভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি বাড়ি পূজা অর্চনা করে থাকেন।
ওই ঘটনায় বুধবার (১৭ মে) বিকেলে পুলিশ এক দম্পতিকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন- একই গ্রামের তরুণ রায় (৫০) ও তার স্ত্রী মীরা রাণী রায় (৪৫)।
নীহার চক্রবর্ত্তীর অভিযোগ, কিছু দিন আগে এক পূজা থেকে পাওয়া গামছা ও শাড়ি প্রতিবেশি তরুণের কাছে বিক্রি করি। সে আমার পাওনা টাকা না দিয়ে ঘোরাচ্ছিল। আমার বাড়িতে যাবার রাস্তা নিয়েও ওই প্রতিবেশীর সঙ্গে আগের বিরোধ ছিল।
মঙ্গলবার সেই পাওনা টাকা চাওয়ায় এবং জমির বিরোধের জেরে তরুণ রায় ও তার পরিবারের সদস্যরা লোহার খুন্তি দিয়ে আমার উপর হামলা করে। এতে আমার ডানহাত কেটে যায়। আমি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছি।
তবে তরুণ রায়ের দাবি, প্রতিবেশী নীহার চক্রবর্ত্তীর সাথে রাস্তার জমি নিয়ে আমার বিরোধ রয়েছে সত্য, তবে তার জন্য দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের কোন অবনতি হয়নি। আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে প্রিয়া রায়কে প্রতিবেশি নীহার পূজা করে পাওয়া গামছা ও শাড়ি উপহার দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার মেয়ে প্রিয়াকে তাদের বাড়িতে ডেকে ওই উপহারের (গামছা ও শাড়ির) টাকা দাবি করেন নীহার চক্রবর্ত্তী। এই নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা প্রথমে আমার মেয়েকে মারধর করে। পরে আমি ও আমার স্ত্রী তা জানতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
মংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায় জানান, মঙ্গলবার বিকালে নীহারের স্ত্রী এবং তরুণের মেয়ের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা মারামারিতে লিপ্ত হন।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, জমির বিরোধ এবং পূজারির পূজা করে পাওয়া শাড়ি ও গামছার সামান্য পাওনা টাকা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এতে পূজারি নীহার চক্রবর্ত্তীর আহত হয়েছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রতিবেশি দম্পতিকে আটক করা হয়েছে।
এজি//এসআই/বিআই/১৭ মে, ২০১৭