স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বনবিভাগ।
সোমবার (৮ মে) দুপুরে বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের তিন ফরেস্টার, নৌকা চালক ও বন প্রহরীসহ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে শরণখোলা রেঞ্জ থেকে গোলপাতার আড়ালে বন থেকে সুন্দরী গাছ কেটে পাচার এবং চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া টহল ফাঁড়ি এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার ঘনফুট সুন্দরী গাছ কেটে পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত এপ্রিলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে কর্মরত অন্তত ১৫ জন কর্মচারির বিরুদ্ধে সুন্দরবনের মূল্যবান সুন্দরী গাছ কেটে পাচার করার অভিযোগ পাই।
সেই অভিযোগের তদন্ত করতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের উপ বন সংরক্ষক বশিরুল মামুনকে একটিতে এবং শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক মোহম্মদ হোসেনকে প্রধান করা হয়।
তারা তদন্তে ওই কর্মচারিদের বিরুদ্ধে সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ কেটে পাচার করার সত্যতা পেয়ে গত ৪ মে ওই দুই কমিটি তিন কর্মকর্তাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
বরখাস্তকৃতরা হলেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া ক্যাম্পের ফরেস্টার কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, বনপ্রহরী বিধান চন্দ্র মহলদার, আলী আহম্মাদ, নৌকা চালক সুলতান হাওলাদার এবং শরণখোলা রেঞ্জের গোলপাতা কুপের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন, মো. মোবারক হোসেন, বন প্রহরী হারুন অর রশিদ, আব্দুল আউয়াল, নৌকা চালক মো. বাদশা শেখ, আব্দুর রশিদ শিকদার, সেলিম সরদার, নুরুল ইসলাম।
তাদেরকে স্ব স্ব কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচ//এসআই/বিআই/০৮ মে, ২০১৭